ঢাকা ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে চার শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ মাদারগঞ্জে মোজাম্মেল মমতাজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা জয় দিয়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের শামি-বুমরাহকে নিয়ে ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ইরানে দুই বিচারককে গুলি করে হত্যা লস এঞ্জেলেস দাবানলের শিকারদের উদ্ধারে ব্যাপক অনুসন্ধানে কুকুরের অমূল্য প্রমাণিত হয়েছে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী : জামালপুর জেলা যুবদলের আলোচনা সভা, শীতবস্ত্র বিতরণ জিল বাংলা সুগার মিলস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ইসলামপুরে মরহুম ডাক্তার রিয়াজুল নূর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

জামালপুরে এপির উদ্যোগে অ্যাডভোকেসি সভা

জামালপুরে এপির উদ্যোগে অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে এপির উদ্যোগে অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, কৃষি, স্যানিটেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের সাথে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার মানুষের সাথে জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর উদ্যোগে এক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

১৬ জুন জামালপুর শহরের পাথালিয়া হযরত শাহজামাল (রহ.) উচ্চবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আনছিুর রহমান, জামালপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর সাইদা আক্তার, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সদস্য মেরি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, পরিচ্ছন্ন খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হোটেল শ্যামল বাংলার মালিক আব্দুছ ছালাম আজাদ প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হযরত শাহজামাল (রহ.) উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছাদুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের এপির সিডিও সমীর কুমার পান্ডে।

অনুষ্ঠানে সরকারি প্রতিনিধিরা তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রমগুলো বর্ণনা করেন। পাশাপাশি সেবা প্রপ্তির ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় উল্লেখ করে সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

সভায় সরকারি প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য, দম্পত্তিসহ ৩৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।

শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে এপি বাস্তবায়ন করছে।

সূত্র জানায়, এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে চার শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

জামালপুরে এপির উদ্যোগে অ্যাডভোকেসি সভা

আপডেট সময় ০৮:০২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
জামালপুরে এপির উদ্যোগে অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, কৃষি, স্যানিটেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের সাথে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার মানুষের সাথে জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর উদ্যোগে এক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

১৬ জুন জামালপুর শহরের পাথালিয়া হযরত শাহজামাল (রহ.) উচ্চবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আনছিুর রহমান, জামালপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর সাইদা আক্তার, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সদস্য মেরি ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, পরিচ্ছন্ন খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হোটেল শ্যামল বাংলার মালিক আব্দুছ ছালাম আজাদ প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হযরত শাহজামাল (রহ.) উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছাদুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের এপির সিডিও সমীর কুমার পান্ডে।

অনুষ্ঠানে সরকারি প্রতিনিধিরা তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের সেবা কার্যক্রমগুলো বর্ণনা করেন। পাশাপাশি সেবা প্রপ্তির ক্ষেত্রে করণীয় বিষয় উল্লেখ করে সেবা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

সভায় সরকারি প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্য, দম্পত্তিসহ ৩৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।

শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে এপি বাস্তবায়ন করছে।

সূত্র জানায়, এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং।