ঢাকা ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ জামালপুরের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আক্তারুজ্জামান আউয়ালের দাফন সম্পন্ন শেরপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশ মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ছাড়া প্রকৃতিকে বোঝা সম্ভব নয় : মিজানুর রহমান ভূঁইয়া খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি : আওয়ামী লীগনেতা জলিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নতুন করে বাংলাদেশকে কিভাবে সাজাব সেইটা পরিকল্পনা করছি : শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে উত্তর চরবওলা স্পোর্টিং ক্লাব এ দল চ্যাম্পিয়ন দেওয়ানগঞ্জে ইসলামী সংস্কৃতি জোটের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাধায় পণ্ড হওয়া ফুটবল খেলা সাত বছর অনুষ্ঠিত

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শহীদুর রহমান খান। ছবি : মেহেদী হাসান

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শহীদুর রহমান খান। ছবি : মেহেদী হাসান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম॥ জামালপুরের একমাত্র বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদ পুনর্মিলনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ মে দুপুরে জামালপুর জেলা পরিষদের নবনির্মিত মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শহীদুর রহমান খান। তিনি বলেন, জামালপুরের উন্নয়নের রূপকার সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালে জামালপুরের এই শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পায়। তারই প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। শুরু থেকেই আমি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। ২০১৫ সালে এখানে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম ছিল। বিগত আট বছরে এর কলেবর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে কয়েকগুণ কম।

তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও আন্তরিক হতে হবে। এখান থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে ভালো রেজাল্ট করে পেশাজীবনে তার মেধাকে কাজে লাগাতে পারে সেই চেষ্টাই আমরা করে যাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদেরকে অযথা সময় নষ্ট না করে লেখাপড়ায় গভীর মনোযোগী হয়ে সমৃদ্ধ জ্ঞান অর্জনে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান সরকার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ঈদ পুনর্মিলনীর আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জেলা পরিষদের প্রশাসক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনু। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী ও ট্রেজারার প্রফেসর মাসুম আলম খান।

আলোচনা সভা শেষে গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৭:১৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শহীদুর রহমান খান। ছবি : মেহেদী হাসান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম॥ জামালপুরের একমাত্র বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদ পুনর্মিলনী ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ মে দুপুরে জামালপুর জেলা পরিষদের নবনির্মিত মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শহীদুর রহমান খান। তিনি বলেন, জামালপুরের উন্নয়নের রূপকার সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপির প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালে জামালপুরের এই শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পায়। তারই প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। শুরু থেকেই আমি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। ২০১৫ সালে এখানে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। তখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম ছিল। বিগত আট বছরে এর কলেবর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে কয়েকগুণ কম।

তিনি আরো বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও আন্তরিক হতে হবে। এখান থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে ভালো রেজাল্ট করে পেশাজীবনে তার মেধাকে কাজে লাগাতে পারে সেই চেষ্টাই আমরা করে যাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদেরকে অযথা সময় নষ্ট না করে লেখাপড়ায় গভীর মনোযোগী হয়ে সমৃদ্ধ জ্ঞান অর্জনে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান সরকার। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ঈদ পুনর্মিলনীর আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জেলা পরিষদের প্রশাসক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনু। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালটির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী ও ট্রেজারার প্রফেসর মাসুম আলম খান।

আলোচনা সভা শেষে গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।