ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ জামালপুরের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আক্তারুজ্জামান আউয়ালের দাফন সম্পন্ন শেরপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশ মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ছাড়া প্রকৃতিকে বোঝা সম্ভব নয় : মিজানুর রহমান ভূঁইয়া খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি : আওয়ামী লীগনেতা জলিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নতুন করে বাংলাদেশকে কিভাবে সাজাব সেইটা পরিকল্পনা করছি : শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে উত্তর চরবওলা স্পোর্টিং ক্লাব এ দল চ্যাম্পিয়ন দেওয়ানগঞ্জে ইসলামী সংস্কৃতি জোটের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাধায় পণ্ড হওয়া ফুটবল খেলা সাত বছর অনুষ্ঠিত

শেরপুরে শ্বাসরোধে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ফুরকান আলীকে (৩৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১০ মে বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফুরকান উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের চেল্লাকান্দি এলাকার ময়দান আলীর ছেলে।

মামলার দায়ের হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে ফুরকান। এদিকে মামলার অপর তিন আসামি ফুরকানের বাবা ময়দান আলী (৫৯), মা ফুলেতন বেগম (৪৯) ও আত্মীয় সওদাগর আলীর (৬১) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২ জুলাই রাতে এক সন্তানের জননী ও শ্রীবরদী উপজেলার বড়গেরামারা এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে জহুরা বেগমের (২৩) কাছ থেকে যৌতুকের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ নিজ ঘরের ধর্ণায় কাপড় পেঁচিয়ে ঝুঁলিয়ে রাখে পাষণ্ড স্বামী ফুরকান আলী। ওই ঘটনায় পর দিন ফুরকান আলী, তার বাবা-মা ও দুই আত্মীয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই ফজলুল হক। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ নভেম্বর ফুরকানের আত্মীয় আজিজুর রহমান ব্যতীত চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন শ্রীবরদী থানার এসআই নুরুল আমিন খান। পরবর্তীতে একমাত্র ময়দান আলী হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হলেও অপর তিন আসামি পলাতক থাকে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, মামলায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ফুরকান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একই আইনে সহায়তার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপরাপর আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ

শেরপুরে শ্বাসরোধে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৮:৩২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ফুরকান আলীকে (৩৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১০ মে বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফুরকান উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের চেল্লাকান্দি এলাকার ময়দান আলীর ছেলে।

মামলার দায়ের হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে ফুরকান। এদিকে মামলার অপর তিন আসামি ফুরকানের বাবা ময়দান আলী (৫৯), মা ফুলেতন বেগম (৪৯) ও আত্মীয় সওদাগর আলীর (৬১) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২ জুলাই রাতে এক সন্তানের জননী ও শ্রীবরদী উপজেলার বড়গেরামারা এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে জহুরা বেগমের (২৩) কাছ থেকে যৌতুকের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ নিজ ঘরের ধর্ণায় কাপড় পেঁচিয়ে ঝুঁলিয়ে রাখে পাষণ্ড স্বামী ফুরকান আলী। ওই ঘটনায় পর দিন ফুরকান আলী, তার বাবা-মা ও দুই আত্মীয়সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই ফজলুল হক। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ নভেম্বর ফুরকানের আত্মীয় আজিজুর রহমান ব্যতীত চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন শ্রীবরদী থানার এসআই নুরুল আমিন খান। পরবর্তীতে একমাত্র ময়দান আলী হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হলেও অপর তিন আসামি পলাতক থাকে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, মামলায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ফুরকান আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া একই আইনে সহায়তার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপরাপর আসামিদের খালাস দেওয়া হয়।