ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ জামালপুরের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আক্তারুজ্জামান আউয়ালের দাফন সম্পন্ন শেরপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশ মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ছাড়া প্রকৃতিকে বোঝা সম্ভব নয় : মিজানুর রহমান ভূঁইয়া খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি : আওয়ামী লীগনেতা জলিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নতুন করে বাংলাদেশকে কিভাবে সাজাব সেইটা পরিকল্পনা করছি : শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে উত্তর চরবওলা স্পোর্টিং ক্লাব এ দল চ্যাম্পিয়ন দেওয়ানগঞ্জে ইসলামী সংস্কৃতি জোটের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাধায় পণ্ড হওয়া ফুটবল খেলা সাত বছর অনুষ্ঠিত

মুজিব নগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথক্রমায় এক অনন্য মাইলফলক : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, মুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখণ্ড হিসেবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ১৭ এপ্রিল তাই শুধু একটি দিবস মাত্র নয়- বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসের পথক্রমায় এক অনন্য মাইলফলক।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সভায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর নামে এই অস্থায়ী মুজিব নগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় দিকনির্দেশনাসহ দেশে ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণের পর থেকে এ দেশের অগণিত কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সেনাসদস্যরা দেশকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদ আর আড়াই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধের সফল পরিণতি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর সরকার একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্রের সরকারের মতোই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সব প্রকার নীতি নির্ধারণসহ যুদ্ধের কৌশলগত বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গভীর প্রজ্ঞার পরিচয় দেয়। মুজিবনগর সরকারের মেধাবী নেতৃত্বে পাকিস্তান পরাজিত হয়। যুদ্ধরত একটি জাতিকে, একটি সুসংগঠিত মুক্তিবাহিনীকে সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল এই মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঃ তানভীর হাসান রুমান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল। অন্যদিকে দলীয় কার্যালয়ে,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাছের চার্লেস চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী শাহিন,সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ কাদের শেখ,পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অংকন কর্মকার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের বিদেহি আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ

মুজিব নগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথক্রমায় এক অনন্য মাইলফলক : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৮:২৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, মুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখণ্ড হিসেবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ১৭ এপ্রিল তাই শুধু একটি দিবস মাত্র নয়- বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার ইতিহাসের পথক্রমায় এক অনন্য মাইলফলক।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা” শীর্ষক আলোচনা ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সভায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অনুপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর নামে এই অস্থায়ী মুজিব নগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় দিকনির্দেশনাসহ দেশে ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণের পর থেকে এ দেশের অগণিত কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সেনাসদস্যরা দেশকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদ আর আড়াই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধের সফল পরিণতি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর সরকার একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্রের সরকারের মতোই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সব প্রকার নীতি নির্ধারণসহ যুদ্ধের কৌশলগত বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণে গভীর প্রজ্ঞার পরিচয় দেয়। মুজিবনগর সরকারের মেধাবী নেতৃত্বে পাকিস্তান পরাজিত হয়। যুদ্ধরত একটি জাতিকে, একটি সুসংগঠিত মুক্তিবাহিনীকে সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছিল এই মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঃ তানভীর হাসান রুমান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল। অন্যদিকে দলীয় কার্যালয়ে,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাছের চার্লেস চৌধুরী, হাবিবুর রহমান চৌধুরী শাহিন,সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ কাদের শেখ,পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অংকন কর্মকার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা, জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের বিদেহি আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।