লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: প্রকৃতির এক অসাধারণ রুপবান উদ্ভিদ সূর্যমুখী। ফুলে ফুলে ভরে গেছে সূর্যমুখী ক্ষেত। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এই ফুলকে সূর্যমুখী বলা হয়। সূর্যমুখীর ক্ষেতে একবার চোখ পড়লে তা ফেরানো কঠিন। বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় উদ্ভাবিত এই ফুলের তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখী হাইসেন জাতের ফুল চাষ করে আশার আলো দেখছেন জামালপুরের ইসলামপুরের কৃষকরা। ভোজ্য তেলের দেশের এই ঘাটতি মুহূর্তে এই তেলজাতীয় ফসল চাষে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, দেশীয় ঘানি ব্যবহার করে পরিপক্ক এই ফুলের বীজ থকে তেল ভাঙ্গানো যায়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কম এই তেলে। চলতি মৌসুমে জামালপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের গঙ্গাপাড়া গ্রামে ১০০ শতাংশ জমিতে কৃষক আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেন পরীক্ষামূলকভাবে এই তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখী হাইসেন জাতের চাষ করেছেন। এতে বাম্পার ফলন ও ফুল ফোটায় সফলতার আলো দেখছেন তারা। প্রথম বছরেই ফুলের চাষ করে সফলতার মুখ দেখায় তাদের মুখে সূর্যমুখী ফুলের হাসি ফুটেছে। সূর্যমুখী ফুলের চাষ এই এলাকার ফুল প্রেমিদের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণসহ হইচই ফেলে দিয়েছে। ফুল ফুটার পর প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা সূর্যমুখী বাগানে ভিড় করছেন। বিশলা সূর্যমুখী ফুল বাগানের খবর শুনে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুলবাগানটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় ও সেলফি তুলছেন উৎসুক মানুষ। সূর্যমুখী ফুলের চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ এলাকাবাসীর অনেকেই এই ফুল চাষ করারও কথা বলছেন।।
কৃষক আমেজ আলী দর্জী জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে ৯০ শতাংশ জমিতে তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফতার মুখও দেখছেন। আগামীতে এই চাষ আরও বাড়াবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী মিজানুর রহমান জানান, অন্যান্য তেলের তুলনায় এই তেলের চাহিদা বেশী।তাই আমরা এই তেলজাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ. এল. এম. রেজুয়ান জানান, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামীতে উপজেলার অন্যান্য এলাকায়ও যেন এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায় সেজন্য বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।