ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বামুনপাড়া উদয়ন ক্লাবের উদ্যোগে শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে ডা. জাকির হোসেনের মহতি উদ্যোগ অপরাজেয়র সংযোগ প্রকল্পের জামালপুর কার্যালয়ে চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত জামালপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চরপাকেরদহ ইউনিয়নে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার হুতি ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’: ট্রাম্প জামালপুর সিংহজানি উচ্চবিদ্যালয়ে তারুণ্যমেলা সমাপ্ত শেরপুরে উন্নয়ন সংঘের স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

স্টেশন রোডে জমি দখলের অভিযোগ, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী শাহরিয়া পারভীন সোমা।  ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীমের বিরুদ্ধে জামালপুর শহরের স্টেশন রোডে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির দাবিদার শহরের স্টেশন রোডের এ কে এম নূরুল ইসলাম খোকনের মেয়ে শাহরিয়া পারভীন সোমা ১৬ মার্চ দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। অপর দিকে আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীমও একই দিন বিকেলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়া পারভীন সোমা অভিযোগ করে বলেন, আমার দাদা মৃত মর্তুজ আলী ভূইয়া তার নিজ রেকর্ডিয় বিআরএস খতিয়ান নং ১৩৫৩ ও দাগ নং ১৩০৬১ থেকে ২ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং বিআরএস খতিয়ান নং ১৩৫৪ ও দাগ নং ১৩০৫৮ থেকে ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থাৎ মোট ২২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ জমির মালিক হন আমার দাদি জায়েদা খাতুন। এই জমি থেকে আমার দাদি ১৯৯১ সালে দুই শতাংশ জমি জনৈক আব্দুল করিমের কাছে বিক্রি করে দেন এবং ২০০৮ সালে আমার দাদি আমার বাবা এ কে এম নুরুল ইসলাম খোকন ভূইয়াকে ১৪ শতাংশ জমি লিখে দেন। এই ১৪ শতাংশ জমি থেকে আমার বাবা আমাকে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং আমার জ্যেঠাত ভাই সোহেলকে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি হেবা দলিলমূলে দান করে যান। আমি ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আমি আমার সেই ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ জমি আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীমের কাছে বিক্রি করে দেই। আমার জ্যেঠাত ভাইও তার কাছে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন। এরপরও আমার বাবার ১৩০৫৮ নং দাগে আরো ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ জমি সেখানে রয়েছে। কিন্তু বিক্রি করার পরও আমার বাবার জমি থাকার পরও আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে জমি ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীম আমাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেন। জমি জবর দখলের ঘটনা চলাকালে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে মারা যান। আমি বর্তমানে দুই শিশু সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। বিষয়টি নিয়ে আমি জামালপুর পৌরসভার মেয়রের কাছে বিচার চেয়েও কোন সাড়া পাইনি। আমি আমার বাবার জমি ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি।

বিকেলে সাংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জমি ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জমি ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীম একই দিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে শাহরিয়া পারভীন সোমা এবং মা মাহফুজা ও তাদের শরিকদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি দলিলমূলে ১৪ শতাংশ জমি কিনে নিয়েছি। আমার নামে কেনা জমিতে বর্তমানে তাদের কোন জমি নেই। শাহরিয়া পারভীন সোমা জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদীত তথ্য তুলে ধরেছেন। আমি জামালপুরের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সেরা করদাতা ও সেরা ভ্যাটদাতা হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কার পেয়েছি। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে আমার সম্মানহানি করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বামুনপাড়া উদয়ন ক্লাবের উদ্যোগে শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ

স্টেশন রোডে জমি দখলের অভিযোগ, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ১০:১১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী শাহরিয়া পারভীন সোমা।  ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীমের বিরুদ্ধে জামালপুর শহরের স্টেশন রোডে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৈত্রিক সূত্রে ওই জমির দাবিদার শহরের স্টেশন রোডের এ কে এম নূরুল ইসলাম খোকনের মেয়ে শাহরিয়া পারভীন সোমা ১৬ মার্চ দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। অপর দিকে আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীমও একই দিন বিকেলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে শাহরিয়া পারভীন সোমা অভিযোগ করে বলেন, আমার দাদা মৃত মর্তুজ আলী ভূইয়া তার নিজ রেকর্ডিয় বিআরএস খতিয়ান নং ১৩৫৩ ও দাগ নং ১৩০৬১ থেকে ২ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং বিআরএস খতিয়ান নং ১৩৫৪ ও দাগ নং ১৩০৫৮ থেকে ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থাৎ মোট ২২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ জমির মালিক হন আমার দাদি জায়েদা খাতুন। এই জমি থেকে আমার দাদি ১৯৯১ সালে দুই শতাংশ জমি জনৈক আব্দুল করিমের কাছে বিক্রি করে দেন এবং ২০০৮ সালে আমার দাদি আমার বাবা এ কে এম নুরুল ইসলাম খোকন ভূইয়াকে ১৪ শতাংশ জমি লিখে দেন। এই ১৪ শতাংশ জমি থেকে আমার বাবা আমাকে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং আমার জ্যেঠাত ভাই সোহেলকে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি হেবা দলিলমূলে দান করে যান। আমি ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আমি আমার সেই ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ জমি আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীমের কাছে বিক্রি করে দেই। আমার জ্যেঠাত ভাইও তার কাছে সাড়ে ৮ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন। এরপরও আমার বাবার ১৩০৫৮ নং দাগে আরো ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ জমি সেখানে রয়েছে। কিন্তু বিক্রি করার পরও আমার বাবার জমি থাকার পরও আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে জমি ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীম আমাদেরকে বাসা থেকে বের করে দেন। জমি জবর দখলের ঘটনা চলাকালে আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে মারা যান। আমি বর্তমানে দুই শিশু সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। বিষয়টি নিয়ে আমি জামালপুর পৌরসভার মেয়রের কাছে বিচার চেয়েও কোন সাড়া পাইনি। আমি আমার বাবার জমি ফিরে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি।

বিকেলে সাংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জমি ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জমি ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিকী মামীম একই দিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে শাহরিয়া পারভীন সোমা এবং মা মাহফুজা ও তাদের শরিকদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি দলিলমূলে ১৪ শতাংশ জমি কিনে নিয়েছি। আমার নামে কেনা জমিতে বর্তমানে তাদের কোন জমি নেই। শাহরিয়া পারভীন সোমা জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদীত তথ্য তুলে ধরেছেন। আমি জামালপুরের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সেরা করদাতা ও সেরা ভ্যাটদাতা হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কার পেয়েছি। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে আমার সম্মানহানি করা হয়েছে।