ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ জামালপুরের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আক্তারুজ্জামান আউয়ালের দাফন সম্পন্ন শেরপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশ মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ছাড়া প্রকৃতিকে বোঝা সম্ভব নয় : মিজানুর রহমান ভূঁইয়া খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি : আওয়ামী লীগনেতা জলিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নতুন করে বাংলাদেশকে কিভাবে সাজাব সেইটা পরিকল্পনা করছি : শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে উত্তর চরবওলা স্পোর্টিং ক্লাব এ দল চ্যাম্পিয়ন দেওয়ানগঞ্জে ইসলামী সংস্কৃতি জোটের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাধায় পণ্ড হওয়া ফুটবল খেলা সাত বছর অনুষ্ঠিত

সার্চ কমিটির প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।-ফাইল ছবি

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সাংবিধানিক বিধান ও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ সার্চ কমিটির প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। ওবায়দুল কাদের ৮ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের লাগাতার মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুসন্ধান কমিটি (সার্চ কমিটি) নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন, জাতির প্রত্যাশার কথা বলেছে।

তিনি বলেন, আমরা বিএনপির মর্মবেদনা বুঝি। রাজনীতির মাঠে চরম ব্যর্থতায় নিপতিত বিএনপি এখন নিজেদের হতাশা ও নিরাশার মাপকাঠিতে জনপ্রত্যাশা পরিমাপের ব্যর্থ চেষ্টায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সাংবিধানিক বিধান ও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। সার্চ কমিটির সব সদস্য নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং তারা প্রত্যেকেই আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

তিনি বলেন, পেশাগত কাজের বাইরেও আপন কর্মের মহিমায় তারা স্বতন্ত্র পরিচিতি অর্জন করেছেন এবং দেশ-জাতির প্রতি তাদের ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত। আইন অনুযায়ী সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও দেশপ্রেমিক বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে যে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে, এ সার্চ কমিটির প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে সার্চ কমিটি একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রস্তাবনা উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রত্যয় দৃপ্ত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। জনগণ প্রত্যাশা করে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের যে শপথ নিয়ে সার্চ কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে- তা পরিপূর্ণ রূপে বাস্তবায়িত হবে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল বাংলাদেশের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল খুনি জিয়া-মোশতাকের চক্রান্তে তা থমকে যায়। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং খুনিচক্র ও স্বাধীনতাবিরোধিদের স্বার্থ সংরক্ষণের শপথের মধ্য দিয়ে বিএনপির পথ চলা শুরু হয়। নতুন করে পাকিস্তানি ভাবধারার সামরিক স্বৈরশাসনের যাতাকলে পিষ্ট হয় বাঙালি জাতি।

কাদের বলেন, দেশদ্রোহী-জাতিদ্রোহী মুক্তিযুদ্ধবিরোধী খুনি-ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যাশা ও আকাক্সক্ষাকে ধারণ করেই আবর্তিত হতে থাকে বিএনপির রাজনীতির গতিপথ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা। বিএনপি এখনও সেই স্বৈরতন্ত্র-সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও প্রত্যাশা বাস্তবায়নের অপরাজনীতিতে ব্যস্ত। তাদের মুখে জনপ্রত্যাশা শব্দটি মানায় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সব সময় দলীয় ও গোষ্ঠী স্বার্থে রাজনীতি করে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন তখন বিএনপি নেত্রী কি আচরণ করেছিলেন দেশবাসী তা ভুলে যায়নি! সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য তখন বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সংবিধানের মূল চেতনায় সমুন্নত গণতান্ত্রিক রীতি বাস্তবায়নে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির সে আহ্বানে সাড়া দেয়নি বিএনপি। উপরন্তু তারা আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের মূল এজেন্ডা ছিল যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধি শক্তিকে সুরক্ষা দেওয়া। যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন বর্জন এবং আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতন্ত্র বিকাশের পথকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র বিএনপি সেদিন শুরু করেছিল তারই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালেও তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আজও তারা গণতন্ত্রের রীতি-নীতিকে বর্জন ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের স্টেশনে রাজনীতির যে ট্রেনে বিএনপি উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল তা আজ বহু দূর এগিয়ে গেছে। গণতন্ত্রের ঘড়ির কাঁটা কারও জন্য থেমে থাকে না, তা আপন গতিতে এগিয়ে চলে। রাজনীতির ভুল ট্রেনে ওঠা বিএনপি নেতারা এখন পরিত্যক্ত প্ল্যাটফর্মের অন্ধকার বগির দিশেহারা যাত্রীর মতো প্রলাপ বকছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপি নেতাদের বর্জন ও পরিত্যাগের ভ্রষ্ট নীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি অনুশীলনের আহ্বান জানিয়েছেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ

সার্চ কমিটির প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৫:১৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সাংবিধানিক বিধান ও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ সার্চ কমিটির প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। ওবায়দুল কাদের ৮ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের লাগাতার মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুসন্ধান কমিটি (সার্চ কমিটি) নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নেতিবাচক ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন, জাতির প্রত্যাশার কথা বলেছে।

তিনি বলেন, আমরা বিএনপির মর্মবেদনা বুঝি। রাজনীতির মাঠে চরম ব্যর্থতায় নিপতিত বিএনপি এখন নিজেদের হতাশা ও নিরাশার মাপকাঠিতে জনপ্রত্যাশা পরিমাপের ব্যর্থ চেষ্টায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সাংবিধানিক বিধান ও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। সার্চ কমিটির সব সদস্য নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং তারা প্রত্যেকেই আমাদের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।

তিনি বলেন, পেশাগত কাজের বাইরেও আপন কর্মের মহিমায় তারা স্বতন্ত্র পরিচিতি অর্জন করেছেন এবং দেশ-জাতির প্রতি তাদের ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত। আইন অনুযায়ী সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও দেশপ্রেমিক বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে যে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে, এ সার্চ কমিটির প্রতি জনগণের পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে সার্চ কমিটি একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রস্তাবনা উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রত্যয় দৃপ্ত অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। জনগণ প্রত্যাশা করে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের যে শপথ নিয়ে সার্চ কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে- তা পরিপূর্ণ রূপে বাস্তবায়িত হবে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল বাংলাদেশের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল খুনি জিয়া-মোশতাকের চক্রান্তে তা থমকে যায়। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং খুনিচক্র ও স্বাধীনতাবিরোধিদের স্বার্থ সংরক্ষণের শপথের মধ্য দিয়ে বিএনপির পথ চলা শুরু হয়। নতুন করে পাকিস্তানি ভাবধারার সামরিক স্বৈরশাসনের যাতাকলে পিষ্ট হয় বাঙালি জাতি।

কাদের বলেন, দেশদ্রোহী-জাতিদ্রোহী মুক্তিযুদ্ধবিরোধী খুনি-ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যাশা ও আকাক্সক্ষাকে ধারণ করেই আবর্তিত হতে থাকে বিএনপির রাজনীতির গতিপথ, বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা। বিএনপি এখনও সেই স্বৈরতন্ত্র-সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা এবং তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও প্রত্যাশা বাস্তবায়নের অপরাজনীতিতে ব্যস্ত। তাদের মুখে জনপ্রত্যাশা শব্দটি মানায় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সব সময় দলীয় ও গোষ্ঠী স্বার্থে রাজনীতি করে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন তখন বিএনপি নেত্রী কি আচরণ করেছিলেন দেশবাসী তা ভুলে যায়নি! সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য তখন বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু সংবিধানের মূল চেতনায় সমুন্নত গণতান্ত্রিক রীতি বাস্তবায়নে এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির সে আহ্বানে সাড়া দেয়নি বিএনপি। উপরন্তু তারা আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের মূল এজেন্ডা ছিল যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধি শক্তিকে সুরক্ষা দেওয়া। যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন বর্জন এবং আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতন্ত্র বিকাশের পথকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র বিএনপি সেদিন শুরু করেছিল তারই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালেও তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আজও তারা গণতন্ত্রের রীতি-নীতিকে বর্জন ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের স্টেশনে রাজনীতির যে ট্রেনে বিএনপি উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল তা আজ বহু দূর এগিয়ে গেছে। গণতন্ত্রের ঘড়ির কাঁটা কারও জন্য থেমে থাকে না, তা আপন গতিতে এগিয়ে চলে। রাজনীতির ভুল ট্রেনে ওঠা বিএনপি নেতারা এখন পরিত্যক্ত প্ল্যাটফর্মের অন্ধকার বগির দিশেহারা যাত্রীর মতো প্রলাপ বকছে।

বিবৃতিতে তিনি বিএনপি নেতাদের বর্জন ও পরিত্যাগের ভ্রষ্ট নীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি অনুশীলনের আহ্বান জানিয়েছেন।