ঢাকা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ জামালপুরের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আক্তারুজ্জামান আউয়ালের দাফন সম্পন্ন শেরপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশ মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ছাড়া প্রকৃতিকে বোঝা সম্ভব নয় : মিজানুর রহমান ভূঁইয়া খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি : আওয়ামী লীগনেতা জলিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নতুন করে বাংলাদেশকে কিভাবে সাজাব সেইটা পরিকল্পনা করছি : শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে উত্তর চরবওলা স্পোর্টিং ক্লাব এ দল চ্যাম্পিয়ন দেওয়ানগঞ্জে ইসলামী সংস্কৃতি জোটের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাধায় পণ্ড হওয়া ফুটবল খেলা সাত বছর অনুষ্ঠিত

নকলা মুক্ত দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

নকলা মুক্ত দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নকলা মুক্ত দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : শেরপুরের নকলায় মুক্ত দিবসের ৫০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে নকলা মুক্ত দিবস। ৯ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১০টায় পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয় চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবু সালেহ মো. নূরল ইসলাম হিরো।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবুল মুনসুর আহম্মেদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশের অগ্রযাত্রা এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনা সভার পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে মরনপণ যুদ্ধ করে হানাদার পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের পরাজিত করে নকলা উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করেন।

নকলা উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রামে ১৯৭১ এর ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যামবুশের মধ্যে পড়ে ১১৭ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। সকাল ৭টায় নকলা থেকে পালিয়ে যাবার সময় অ্যামবুশে পড়ে ওই রাজাকাররা। পরে অস্ত্রসহ রাজাকারদের দলটি আত্মসমর্পণের পরই নকলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিবাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে টু-আইসি আব্দুর রশিদ ও সিকিউরিটি অফিসার একলিম শাহসহ ৩ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নকলাকে হানাদার মুক্ত করতে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন।

৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় নকলা পাইলট হাইস্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় মিত্র বাহিনীর মেজর রানা সিংহ, লেফট্যানেন্ট আবু তাহের, ইপিআর ওয়ারলেস অপারেটর ফরহাদ হোসেন, কোম্পানি কমান্ডার গিয়াস মাস্টার এবং নকলা, শেরপুর ও নালিতাবাড়ীর প্লাটুন কমান্ডার যথাক্রমে নূরুল ইসলাম হিরু, এবি সিদ্দিক, জমির উদ্দিন, কোয়ার্টার মাস্টার জুলহাস উদ্দিন ফকির, মুক্তিযুদ্ধের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য আবুল হাশেমসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। সেদিন বিজয় উল্লাসে হাজারও মুক্তিকামী মানুষের ঢল নামে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ

নকলা মুক্ত দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

আপডেট সময় ০২:১৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
নকলা মুক্ত দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : শেরপুরের নকলায় মুক্ত দিবসের ৫০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে নকলা মুক্ত দিবস। ৯ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১০টায় পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয় চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবু সালেহ মো. নূরল ইসলাম হিরো।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার, মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আবুল মুনসুর আহম্মেদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে দেশের অগ্রযাত্রা এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনা সভার পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে মরনপণ যুদ্ধ করে হানাদার পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের পরাজিত করে নকলা উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করেন।

নকলা উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রামে ১৯৭১ এর ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যামবুশের মধ্যে পড়ে ১১৭ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। সকাল ৭টায় নকলা থেকে পালিয়ে যাবার সময় অ্যামবুশে পড়ে ওই রাজাকাররা। পরে অস্ত্রসহ রাজাকারদের দলটি আত্মসমর্পণের পরই নকলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিবাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে টু-আইসি আব্দুর রশিদ ও সিকিউরিটি অফিসার একলিম শাহসহ ৩ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নকলাকে হানাদার মুক্ত করতে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন।

৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় নকলা পাইলট হাইস্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় মিত্র বাহিনীর মেজর রানা সিংহ, লেফট্যানেন্ট আবু তাহের, ইপিআর ওয়ারলেস অপারেটর ফরহাদ হোসেন, কোম্পানি কমান্ডার গিয়াস মাস্টার এবং নকলা, শেরপুর ও নালিতাবাড়ীর প্লাটুন কমান্ডার যথাক্রমে নূরুল ইসলাম হিরু, এবি সিদ্দিক, জমির উদ্দিন, কোয়ার্টার মাস্টার জুলহাস উদ্দিন ফকির, মুক্তিযুদ্ধের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্য আবুল হাশেমসহ মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। সেদিন বিজয় উল্লাসে হাজারও মুক্তিকামী মানুষের ঢল নামে।