ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ জামালপুরের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ আক্তারুজ্জামান আউয়ালের দাফন সম্পন্ন শেরপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশ মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ছাড়া প্রকৃতিকে বোঝা সম্ভব নয় : মিজানুর রহমান ভূঁইয়া খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি : আওয়ামী লীগনেতা জলিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ নতুন করে বাংলাদেশকে কিভাবে সাজাব সেইটা পরিকল্পনা করছি : শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে উত্তর চরবওলা স্পোর্টিং ক্লাব এ দল চ্যাম্পিয়ন দেওয়ানগঞ্জে ইসলামী সংস্কৃতি জোটের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাধায় পণ্ড হওয়া ফুটবল খেলা সাত বছর অনুষ্ঠিত

সূর্য কিন্তু একটাই

: জাহিদুর রহমান উজ্জল :

আজ সকালে বার বার একটি গান মনে পড়ছে।
‘যেভাবেই তুমি সকাল দেখো সূর্য কিন্তু একটাই।’

তাই সকালে পুবের আকাশে সূর্যের মতো আমাদের প্রিয় নেতা মির্জা আজমকে। তার জন্য জামালপুরবাসী মাথা উঁচু করে পরিচয় দিতে পারি। বুক গর্বে ভরে যায়। একটি মাত্র সূর্য আমাদের আলোকিত করেছেন। তার আলোয় পুরো জেলা আলোকিত। সেই ১৯৯১ সাল থেকে আজ অবধি তিনি পথ চলছেন। রাজনীতির মাঠ প্রথমে তাঁর জন্য কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো না। অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে তিনি আজ এ পর্যন্ত এসেছেন। এটাই তাঁর সাফল্য। তাঁর হাতে পরশ পাথর ধরা দিয়েছেন। অহংকার অহমিকা তার নেই। তিনি জনগণের হৃদয়ে যে জায়গা করে নিয়েছেন। তার দৃষ্টান্ত তিনি নিজেই। তার কথায় বার বার একটি কথা উচ্চারিত হয় ‘জনগণ আমার মনিব, আমি তাদের চাকর’ এই কথাটি তৃর্ণমূল জনগণের হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন।

তিনি অল্প বয়সে রাজনীতিতে এসে যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা এ দেশে বিরল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রিয়জনে পরিণত হয়েছেন। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জাতীয় সংসদে গিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে সংসদ সদস্য মনোনিত হোন। যে বয়সটি ছিলো তরুণের সর্বোত্তম আনন্দ ফুর্তির জায়গা। সে বয়সে দুই উপজেলার জনগণের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। তার তারুণ্যের মেধাটুকু জনগণের কাজে ব্যয় করেছেন। পারিবারিক সময় সংকোচিত করে জনগণের জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ করেছেন। তার অহংকার ও দাম্ভিকতাকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে জনগণের কাছে মাথানত করেছেন।

আমেরিকান লেখক ডলি পার্টন বলেছেন, ‘যদি তোমার কাজ অন্যদের স্বপ্ন দেখতে, শিখতে এবং বড় কিছু হতে উৎলসাহিত করে – তবে তুমি দারুণ একজন নেতা’ মির্জা আজম এই দীক্ষায় দীক্ষিত। তিনি স্বপ্নচারী মানুষ। তিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেন না। তিনি সব সময় জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন। এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। তার সংসদ সদস্যের বয়স হয়েছে ত্রিশ বছর। এই দীর্ঘ সময় তিনি জামালপুরের উন্নয়নের জন্য জীবন যৌবন ছেড়ে দিনরাত পরিশ্রম করে আজ জামালপুরকে একটি সম্ভাবনার জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন। একটি উন্নতশীল জেলায় রূপান্তর করার পরিকল্পনা ছিলো। মাত্র কয়েক বছরে জামালপুরকে দারিদ্রপ্রবন জেলা থেকে উন্নত জেলার তালিকায় উঠিয়ে এনেছেন। অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি একটি বিভাগের চাইতে বেশি উন্নত জামালপুর। এখানে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখার একমাত্র স্বপ্নবান মানুষ মির্জা আজম। তাঁর হাতের পরশপাথর ছুঁইয়ে দিলেই শুরু হয়ে যায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। আসলে মির্জা আজমের ক্যারিশম্যাটিক রাজনীতির মূলমন্ত্র জনগণ। জনগণের ভালেবাসাটুকুই পরশপাথর। তিনি যে সময় জামালপুরকে সারাদেশের কাছে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত জেলার তালিকায় নাম করে নিয়েছেন। তার রাজনৈতিক দর্শন ও উন্নয়নের কার্যক্রম আমাদের প্রাণিত করেছে। তার আর্দশিক নীতির পথ অনুসরণকারীরা জেলায় রাজনৈতিক আকাশে নক্ষত্রের মতো আলোকিত।

সেই সময় জামালপুরের আকাশে একটি কালোমেঘ ভর করে। ডা. মুরাদের ঘটনায় সারাদেশের দৃষ্টি এখন জামালপুরের দিকে। ডা. মুরাদের এই অপকর্ম জামালপুরকে লজ্জিত করেছে। হেয়, প্রতিপন্ন, মানহানিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। জামালপুরের রাজনৈতিক ইতিহাসে এ যেন এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এ নাটক করার কথা ছিলো না; ডা. মুরাদ একজন প্রগতিশীল রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আওয়ামী ঘরনার সন্তান। কিন্তু এতো অল্প বয়সে তিনি এতো কিছু পেয়ে যাওয়ায় তার ভারটুকু সহ্য করতে পারে নাই। সাংসদ থেকে প্রতিমন্ত্রী হয়ে উঠার পেছনে তার বাবার আদর্শকে কাজে লাগিয়েছিলেন। তার বাবার পরিচয়ে এ পর্যন্ত উঠে আসা। কিন্তু মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর তিনি সবকিছু ভুলে গিয়েছিলেন। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের বলয়ে ছিলেন। তার অহংকার ও দাম্ভিকতা নৈতিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ ছিলেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা ভুলে নিজেকে এক উল্টোপথের যাত্রী করেছিলেন। তার ভুলগুলো ধরার ক্ষমতা ছিলোনা। তিনি অদ্ভুত উটের পিঠে উটে এই সমাজকে তুচ্ছ মনে করেছিলেন।

হযরত আলী (রা.) এক বাণীতে বলেছেন, ‘ক্ষমতার আসন মানুষের জন্য সব চেয়ে বড় পরীক্ষার ক্ষেত্র’। এ পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। জনগণকে ছেড়ে তিনি বাঘের পিঠে সোয়ার হয়েছিলেন। সম্প্রতি তার মুখের ভাষার নিয়ন্ত্রণ ছিলো না। ঐতিহ্যবাহী বংশের একজন মানুষ একজন চিকিৎসকের ভাষা এ রকম কেন? মাঝে মাঝে ভাবিয়ে তুলতো। এ ভাষাতো বৃহন্নলাদের। তার মুখে কেন?

তিনি কারো পরামর্শ নিতেন না। মনে যা ধরতো তাই করতেন। সমাজকে তুচ্ছ করে তিনি এগিয়ে গেছেন পতনের দিকে।

তার বাবা এডভোকেট মতিয়র রহমানের আদর্শ টুকু তার ছিলনা, পাশাপাশি এই অঞ্চলের রাজনীতির বটবৃক্ষ হিসাবে যিনি পরিচিত মির্জা আজম এমপি মহোদয়ের কথা ও পরামর্শ তিনি শুনেননি। জানামতে তিনি বারবার তাকে সতর্ক করেছেন, তার পরেও ডা. মুরাদ একটি দলছুট পাগলা ঘোড়ার মতো দাপিয়ে বেড়াতেন। ব্যাপক অহংকার অহমিকায় তিনি ডুবে ছিলেন। আসলে বাপের বদলৌতে এতো ছোট বয়সে এতো কিছু পেয়েছিলেন। ফলে এইসব ভার সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাই নিজের পতন নিজেই ডেকে এনেছেন। আমাদের সম্ভবনাময় জামালপুর জেলাকে কালিমালেপন করেছেন। ২৬ লাখ জনগণের মাথা নূয়ে দিয়েছেন। আমরা যেখানে জেলার নামের আগে মির্জা আজম এমপি মহোদয়ের নাম বলে পরিচয় দেই। সেই প্রশস্ত বুকের মাথা উঁচু করা মানুষ আমরা। একটু লজ্জা পেলাম এক আদর্শহীন দলছুট পাগলা ঘোড়ার মতো বিবেকহীন জনপ্রতির নামে এক ভয়ংকর মানুষের জন্য।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত পদক্ষেপে কালোমেঘ কেটে গেছে। জামালপুরের আকাশে সূর্য কিন্তু একটাই, তার নাম মির্জা আজম। তিনি ভরসার জায়গা, মাথা উঁচু করার জায়গা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি ক্ষেত্র।

বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে আবদ্ধ করে রেখেছেন। মির্জা আজমের মতো একজন আর্দশিক নেতা পেয়ে আমরা গর্বিত, আমরা যেখানে থাকি, যেভাবে থাকি সবার মাথার ওপর একটি সূর্য আলো দিয়ে আসছে সেই সূর্যটাই মির্জা আজম।

তাই গানের ভাষায় বলি ‘যেভাবে তুমি সকাল দেখো সূর্য কিন্তু একটা’।

লেখক: সভাপতি, মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাব।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানকেই এই মুহূর্তে দরকার : বিএনপিনেতা শামীম আহমেদ

সূর্য কিন্তু একটাই

আপডেট সময় ০৯:৪৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

: জাহিদুর রহমান উজ্জল :

আজ সকালে বার বার একটি গান মনে পড়ছে।
‘যেভাবেই তুমি সকাল দেখো সূর্য কিন্তু একটাই।’

তাই সকালে পুবের আকাশে সূর্যের মতো আমাদের প্রিয় নেতা মির্জা আজমকে। তার জন্য জামালপুরবাসী মাথা উঁচু করে পরিচয় দিতে পারি। বুক গর্বে ভরে যায়। একটি মাত্র সূর্য আমাদের আলোকিত করেছেন। তার আলোয় পুরো জেলা আলোকিত। সেই ১৯৯১ সাল থেকে আজ অবধি তিনি পথ চলছেন। রাজনীতির মাঠ প্রথমে তাঁর জন্য কুসুমাস্তীর্ণ ছিলো না। অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে তিনি আজ এ পর্যন্ত এসেছেন। এটাই তাঁর সাফল্য। তাঁর হাতে পরশ পাথর ধরা দিয়েছেন। অহংকার অহমিকা তার নেই। তিনি জনগণের হৃদয়ে যে জায়গা করে নিয়েছেন। তার দৃষ্টান্ত তিনি নিজেই। তার কথায় বার বার একটি কথা উচ্চারিত হয় ‘জনগণ আমার মনিব, আমি তাদের চাকর’ এই কথাটি তৃর্ণমূল জনগণের হৃদয়ের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নিয়েছেন।

তিনি অল্প বয়সে রাজনীতিতে এসে যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা এ দেশে বিরল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রিয়জনে পরিণত হয়েছেন। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জাতীয় সংসদে গিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে সংসদ সদস্য মনোনিত হোন। যে বয়সটি ছিলো তরুণের সর্বোত্তম আনন্দ ফুর্তির জায়গা। সে বয়সে দুই উপজেলার জনগণের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। তার তারুণ্যের মেধাটুকু জনগণের কাজে ব্যয় করেছেন। পারিবারিক সময় সংকোচিত করে জনগণের জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ করেছেন। তার অহংকার ও দাম্ভিকতাকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে জনগণের কাছে মাথানত করেছেন।

আমেরিকান লেখক ডলি পার্টন বলেছেন, ‘যদি তোমার কাজ অন্যদের স্বপ্ন দেখতে, শিখতে এবং বড় কিছু হতে উৎলসাহিত করে – তবে তুমি দারুণ একজন নেতা’ মির্জা আজম এই দীক্ষায় দীক্ষিত। তিনি স্বপ্নচারী মানুষ। তিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেন না। তিনি সব সময় জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন। এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। তার সংসদ সদস্যের বয়স হয়েছে ত্রিশ বছর। এই দীর্ঘ সময় তিনি জামালপুরের উন্নয়নের জন্য জীবন যৌবন ছেড়ে দিনরাত পরিশ্রম করে আজ জামালপুরকে একটি সম্ভাবনার জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন। একটি উন্নতশীল জেলায় রূপান্তর করার পরিকল্পনা ছিলো। মাত্র কয়েক বছরে জামালপুরকে দারিদ্রপ্রবন জেলা থেকে উন্নত জেলার তালিকায় উঠিয়ে এনেছেন। অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি একটি বিভাগের চাইতে বেশি উন্নত জামালপুর। এখানে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখার একমাত্র স্বপ্নবান মানুষ মির্জা আজম। তাঁর হাতের পরশপাথর ছুঁইয়ে দিলেই শুরু হয়ে যায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। আসলে মির্জা আজমের ক্যারিশম্যাটিক রাজনীতির মূলমন্ত্র জনগণ। জনগণের ভালেবাসাটুকুই পরশপাথর। তিনি যে সময় জামালপুরকে সারাদেশের কাছে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত জেলার তালিকায় নাম করে নিয়েছেন। তার রাজনৈতিক দর্শন ও উন্নয়নের কার্যক্রম আমাদের প্রাণিত করেছে। তার আর্দশিক নীতির পথ অনুসরণকারীরা জেলায় রাজনৈতিক আকাশে নক্ষত্রের মতো আলোকিত।

সেই সময় জামালপুরের আকাশে একটি কালোমেঘ ভর করে। ডা. মুরাদের ঘটনায় সারাদেশের দৃষ্টি এখন জামালপুরের দিকে। ডা. মুরাদের এই অপকর্ম জামালপুরকে লজ্জিত করেছে। হেয়, প্রতিপন্ন, মানহানিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। জামালপুরের রাজনৈতিক ইতিহাসে এ যেন এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এ নাটক করার কথা ছিলো না; ডা. মুরাদ একজন প্রগতিশীল রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আওয়ামী ঘরনার সন্তান। কিন্তু এতো অল্প বয়সে তিনি এতো কিছু পেয়ে যাওয়ায় তার ভারটুকু সহ্য করতে পারে নাই। সাংসদ থেকে প্রতিমন্ত্রী হয়ে উঠার পেছনে তার বাবার আদর্শকে কাজে লাগিয়েছিলেন। তার বাবার পরিচয়ে এ পর্যন্ত উঠে আসা। কিন্তু মন্ত্রীত্ব পাওয়ার পর তিনি সবকিছু ভুলে গিয়েছিলেন। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের বলয়ে ছিলেন। তার অহংকার ও দাম্ভিকতা নৈতিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ ছিলেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা ভুলে নিজেকে এক উল্টোপথের যাত্রী করেছিলেন। তার ভুলগুলো ধরার ক্ষমতা ছিলোনা। তিনি অদ্ভুত উটের পিঠে উটে এই সমাজকে তুচ্ছ মনে করেছিলেন।

হযরত আলী (রা.) এক বাণীতে বলেছেন, ‘ক্ষমতার আসন মানুষের জন্য সব চেয়ে বড় পরীক্ষার ক্ষেত্র’। এ পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। জনগণকে ছেড়ে তিনি বাঘের পিঠে সোয়ার হয়েছিলেন। সম্প্রতি তার মুখের ভাষার নিয়ন্ত্রণ ছিলো না। ঐতিহ্যবাহী বংশের একজন মানুষ একজন চিকিৎসকের ভাষা এ রকম কেন? মাঝে মাঝে ভাবিয়ে তুলতো। এ ভাষাতো বৃহন্নলাদের। তার মুখে কেন?

তিনি কারো পরামর্শ নিতেন না। মনে যা ধরতো তাই করতেন। সমাজকে তুচ্ছ করে তিনি এগিয়ে গেছেন পতনের দিকে।

তার বাবা এডভোকেট মতিয়র রহমানের আদর্শ টুকু তার ছিলনা, পাশাপাশি এই অঞ্চলের রাজনীতির বটবৃক্ষ হিসাবে যিনি পরিচিত মির্জা আজম এমপি মহোদয়ের কথা ও পরামর্শ তিনি শুনেননি। জানামতে তিনি বারবার তাকে সতর্ক করেছেন, তার পরেও ডা. মুরাদ একটি দলছুট পাগলা ঘোড়ার মতো দাপিয়ে বেড়াতেন। ব্যাপক অহংকার অহমিকায় তিনি ডুবে ছিলেন। আসলে বাপের বদলৌতে এতো ছোট বয়সে এতো কিছু পেয়েছিলেন। ফলে এইসব ভার সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাই নিজের পতন নিজেই ডেকে এনেছেন। আমাদের সম্ভবনাময় জামালপুর জেলাকে কালিমালেপন করেছেন। ২৬ লাখ জনগণের মাথা নূয়ে দিয়েছেন। আমরা যেখানে জেলার নামের আগে মির্জা আজম এমপি মহোদয়ের নাম বলে পরিচয় দেই। সেই প্রশস্ত বুকের মাথা উঁচু করা মানুষ আমরা। একটু লজ্জা পেলাম এক আদর্শহীন দলছুট পাগলা ঘোড়ার মতো বিবেকহীন জনপ্রতির নামে এক ভয়ংকর মানুষের জন্য।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত পদক্ষেপে কালোমেঘ কেটে গেছে। জামালপুরের আকাশে সূর্য কিন্তু একটাই, তার নাম মির্জা আজম। তিনি ভরসার জায়গা, মাথা উঁচু করার জায়গা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি ক্ষেত্র।

বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে আবদ্ধ করে রেখেছেন। মির্জা আজমের মতো একজন আর্দশিক নেতা পেয়ে আমরা গর্বিত, আমরা যেখানে থাকি, যেভাবে থাকি সবার মাথার ওপর একটি সূর্য আলো দিয়ে আসছে সেই সূর্যটাই মির্জা আজম।

তাই গানের ভাষায় বলি ‘যেভাবে তুমি সকাল দেখো সূর্য কিন্তু একটা’।

লেখক: সভাপতি, মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাব।