ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বামুনপাড়া উদয়ন ক্লাবের উদ্যোগে শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে ডা. জাকির হোসেনের মহতি উদ্যোগ অপরাজেয়র সংযোগ প্রকল্পের জামালপুর কার্যালয়ে চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত জামালপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চরপাকেরদহ ইউনিয়নে ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার হুতি ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’: ট্রাম্প জামালপুর সিংহজানি উচ্চবিদ্যালয়ে তারুণ্যমেলা সমাপ্ত শেরপুরে উন্নয়ন সংঘের স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

জামালপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ শুরু

জামালপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ২৫ নভেম্বর জামালপুরে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ।

এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় ফৌজদারী মোড়ে আয়োজন করা হয় মানববন্ধন। পরে শহরে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহর পদক্ষিণ শেষে নারী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু।

জামালপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপপরিচালক কামরুন্নাহার। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আমরাই পারি জেলা জোটের আহ্বায়ক শামীমা খান। প্রধান আলোচক ছিলেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক জেলা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থা জামালপুর জেলা শাখার চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আারা বেগম, নারীনেত্রী আইনজীবী শামীম আরা, অগ্রগামী মহিলা সংস্থার সভাপতি রাশিদা ফারুকী, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী মনির হোসেন খান, সুজন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ফেরদৌস, অপরাজেয় বাংলাদেশের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার প্রকল্প কর্মকর্তা রাসেল মিয়া।

অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সংঘ, ব্র্যাক, ওয়ার্ল্ড ভিশন, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থা, গণচেতনা, নারীপক্ষ, জাতীয় মহিলা সংস্থা, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি, এফপিএবি, অপরাজেয় বাংলাদেশ, আমরাই পারি জেলা জোট, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকার সংস্থার দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করে জেলা প্রশাসন, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় এবং জামালপুরে কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা।

জামালপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে, উচ্চ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা অগ্রাধীকার ভিত্তিতে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে, বিচার চলাকালে নির্যাতনের শিকার নারী, শিশু ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে, মামলায় সাক্ষী প্রদান প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করতে হবে, হাইকোর্টের দেওয়া ২০০৯ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানী প্রতিরোধ নীতিমালা ও বাস্তবায়নের কার্যকর ব্যবস্থা করতে হবে, পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন সফলভাবে কার্যকর করতে হবে, ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে, নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করতে হবে, সকল প্রকার বৈষম্যমূলক আইন ও নারী নির্যাতনবিরোধী আইনকে সংশোধন ও সময়োপযোগী করতে হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বামুনপাড়া উদয়ন ক্লাবের উদ্যোগে শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ

জামালপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ শুরু

আপডেট সময় ০৩:৫৭:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
জামালপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ২৫ নভেম্বর জামালপুরে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ।

এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় ফৌজদারী মোড়ে আয়োজন করা হয় মানববন্ধন। পরে শহরে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহর পদক্ষিণ শেষে নারী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু।

জামালপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপপরিচালক কামরুন্নাহার। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আমরাই পারি জেলা জোটের আহ্বায়ক শামীমা খান। প্রধান আলোচক ছিলেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক জেলা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থা জামালপুর জেলা শাখার চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আারা বেগম, নারীনেত্রী আইনজীবী শামীম আরা, অগ্রগামী মহিলা সংস্থার সভাপতি রাশিদা ফারুকী, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী মনির হোসেন খান, সুজন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ফেরদৌস, অপরাজেয় বাংলাদেশের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার প্রকল্প কর্মকর্তা রাসেল মিয়া।

অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সংঘ, ব্র্যাক, ওয়ার্ল্ড ভিশন, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থা, গণচেতনা, নারীপক্ষ, জাতীয় মহিলা সংস্থা, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি, এফপিএবি, অপরাজেয় বাংলাদেশ, আমরাই পারি জেলা জোট, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকার সংস্থার দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করে জেলা প্রশাসন, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় এবং জামালপুরে কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা।

জামালপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে, উচ্চ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা অগ্রাধীকার ভিত্তিতে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে, বিচার চলাকালে নির্যাতনের শিকার নারী, শিশু ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে, মামলায় সাক্ষী প্রদান প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করতে হবে, হাইকোর্টের দেওয়া ২০০৯ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানী প্রতিরোধ নীতিমালা ও বাস্তবায়নের কার্যকর ব্যবস্থা করতে হবে, পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন সফলভাবে কার্যকর করতে হবে, ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে, নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করতে হবে, সকল প্রকার বৈষম্যমূলক আইন ও নারী নির্যাতনবিরোধী আইনকে সংশোধন ও সময়োপযোগী করতে হবে।