ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসলামপুরে ৭১ এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ মাদারগঞ্জে আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা হল ৫ মেলান্দহে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার বকশীগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রকল্পের সুফলভোগীদের মাঝে মুরগি বিতরণ সরিষাবাড়ীতে অনুমোদনহীন ভবনের মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা জামালপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতার পর অটোরিকশা ধর্মঘট প্রত্যাহার মাদারগঞ্জে ১৮ ঘণ্টা পর আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৪, নিখোঁজ ১ জামালপুরে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মাদারগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত বকশীগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচি শুরু

একমাত্র টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ সফরে একমাত্র টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচানোর প্রানপন চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি স্বাগতিকদের। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টাইগার দলের সবগুলো অস্ত্রই সচল থাকায় বিজয়ের হাসিতে উদ্ভাসিত হয় বাংলাদেশ শিবির।

রেকর্ড ৪৭৭ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা টাইগার বোলারদের পুরো দুটি সেশন ঠেকিয়ে রেখেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৬ রানেই অল আউট হয়ে যায় তারা। এটি রানের বিচারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় ব্যবধানের জয়। এছাড়া ১২৪ টেস্টের ১৫তম জয় টাইগারদের।

২য় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙ্গে দিতে বাংলাদেশের হয়ে মুল ভুমিকা পালন করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৮২ রানে ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ৮২ রানে ৫ উইকেট দখল করা অফ স্পিনার মেহদি হাসান মিরাজ ৬৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে তাসকিনকে উপযুক্ত সঙ্গ দিয়েছেন। স্বাগতিকদের বাকী দুটি উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন যথাক্রমে সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেন।

আগের দিনের ৩ উইকেটে ১৪০ রানের পুঁজি নিয়ে আজ ব্যাটিং শুরু করা জিম্বাবুয়ে দিনের শুরুতে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড তিরিপানো এবং ডিওন মায়ার্সের তুলে দেয়া ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয় টাইগার ফিল্ডাররা। ওইটুকু বাদ দিলে পুরো টেস্ট জুড়েই বাংলাদেশ দল ছিল একেবারেই নিখুঁত। দিনের প্রথম চা পানের বিরতির পরপর উইকেট খরা দূর করেন মেহদি মিরাজ। তার বল ডিওন মায়ার্স সরাসরি মিড উইকেটে সাদমান ইসলামের হাতে তুলে দেন। বিদায়ের আগে ২৬ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।

ওই উইকেটটিই উন্মুক্ত করে দেয় টাইগারদের পথ। তিন বল পর মিরাজ ফের আঘাত হানে জিম্বাবুয়ের শিবিরে। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করে দেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান টিমিকেন মারুমাকে (০)।

এরপর উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন তাসকিন। তিনি পরপর ওভারে শুন্য রানে রয় কায়াকে ফিরিয়ে দেয়ার পর বিদায় করে দেন এক রান সংগ্রহকারী রেজিস চাকাবাকে। এতেই টামাটাল হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের লোয়ার অর্র্ডার।

বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে এক রকম উপড়ে ফেলার আয়োজন চুড়ান্ত করার পরও তাদেরকে চিন্তায় ডুবিয়ে দেয় তিরিপানো। ভিক্টর নেয়াউচির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি প্রথম দফায় যোগ করেন ৩৪ রান। পরে তাসকিন ফিরিয়ে দেন ১০ রান সংগ্রহকারী ভিক্টরকে।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে কিছু ম্লান পারফর্মার এবাদত শেষ পর্যন্ত তার প্রচেস্টার ফসল হিসেবে লাভ করেন তিরিপানোর উইকেটটি। লিটন দাসের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৪৪ বলের মোকাবেলায় ৫২ রান সংগ্রহ করেন ওই জিম্বাবুইয়ান।

এর পর স্বাগতিক দলের রানের চাকাকে যিনি সরাসরি সচল রাখার কাজে মনোযোগি হয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন ব্লেসিং মুজুরাবানি। ১১নম্বরের ব্যাটসম্যান রিচার্ড এনগারাভা (১০) বিদায় না নেয়া পর্যন্ত তিনি স্বাগতিক দলের রানের চাকা যেমন সচল রেখেছেন তেমনি দলটিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন চা পানের বিরতি পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন মুজুরাবানি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামপুরে ৭১ এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ

একমাত্র টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় ১০:৩০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ সফরে একমাত্র টেস্টে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ২২০ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচানোর প্রানপন চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি স্বাগতিকদের। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টাইগার দলের সবগুলো অস্ত্রই সচল থাকায় বিজয়ের হাসিতে উদ্ভাসিত হয় বাংলাদেশ শিবির।

রেকর্ড ৪৭৭ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা টাইগার বোলারদের পুরো দুটি সেশন ঠেকিয়ে রেখেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৬ রানেই অল আউট হয়ে যায় তারা। এটি রানের বিচারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় ব্যবধানের জয়। এছাড়া ১২৪ টেস্টের ১৫তম জয় টাইগারদের।

২য় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙ্গে দিতে বাংলাদেশের হয়ে মুল ভুমিকা পালন করেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ৮২ রানে ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ৮২ রানে ৫ উইকেট দখল করা অফ স্পিনার মেহদি হাসান মিরাজ ৬৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে তাসকিনকে উপযুক্ত সঙ্গ দিয়েছেন। স্বাগতিকদের বাকী দুটি উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন যথাক্রমে সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেন।

আগের দিনের ৩ উইকেটে ১৪০ রানের পুঁজি নিয়ে আজ ব্যাটিং শুরু করা জিম্বাবুয়ে দিনের শুরুতে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড তিরিপানো এবং ডিওন মায়ার্সের তুলে দেয়া ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয় টাইগার ফিল্ডাররা। ওইটুকু বাদ দিলে পুরো টেস্ট জুড়েই বাংলাদেশ দল ছিল একেবারেই নিখুঁত। দিনের প্রথম চা পানের বিরতির পরপর উইকেট খরা দূর করেন মেহদি মিরাজ। তার বল ডিওন মায়ার্স সরাসরি মিড উইকেটে সাদমান ইসলামের হাতে তুলে দেন। বিদায়ের আগে ২৬ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।

ওই উইকেটটিই উন্মুক্ত করে দেয় টাইগারদের পথ। তিন বল পর মিরাজ ফের আঘাত হানে জিম্বাবুয়ের শিবিরে। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করে দেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান টিমিকেন মারুমাকে (০)।

এরপর উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন তাসকিন। তিনি পরপর ওভারে শুন্য রানে রয় কায়াকে ফিরিয়ে দেয়ার পর বিদায় করে দেন এক রান সংগ্রহকারী রেজিস চাকাবাকে। এতেই টামাটাল হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের লোয়ার অর্র্ডার।

বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে এক রকম উপড়ে ফেলার আয়োজন চুড়ান্ত করার পরও তাদেরকে চিন্তায় ডুবিয়ে দেয় তিরিপানো। ভিক্টর নেয়াউচির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি প্রথম দফায় যোগ করেন ৩৪ রান। পরে তাসকিন ফিরিয়ে দেন ১০ রান সংগ্রহকারী ভিক্টরকে।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে কিছু ম্লান পারফর্মার এবাদত শেষ পর্যন্ত তার প্রচেস্টার ফসল হিসেবে লাভ করেন তিরিপানোর উইকেটটি। লিটন দাসের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৪৪ বলের মোকাবেলায় ৫২ রান সংগ্রহ করেন ওই জিম্বাবুইয়ান।

এর পর স্বাগতিক দলের রানের চাকাকে যিনি সরাসরি সচল রাখার কাজে মনোযোগি হয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন ব্লেসিং মুজুরাবানি। ১১নম্বরের ব্যাটসম্যান রিচার্ড এনগারাভা (১০) বিদায় না নেয়া পর্যন্ত তিনি স্বাগতিক দলের রানের চাকা যেমন সচল রেখেছেন তেমনি দলটিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন চা পানের বিরতি পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন মুজুরাবানি।