ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগামীর বাংলাদেশ যেন ৫০ বছর সুরক্ষিত থাকে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান জিল বাংলা সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু নরুন্দিতে প্রতিপক্ষের পিটুনিতে একজন কৃষক নিহত ভারতের অপতথ্য প্রচারে আমাদের কোন ক্ষতি নেই : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত আগামীকাল একই সারিতে থাকবে পৃথিবী-সূর্য-বৃহস্পতি ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প গ্লোবাল সুপার লিগ: লাহোরকে হারিয়ে ফাইনালে রংপুর আইসিসির নভেম্বরের সেরার লড়াইয়ে মনোনীত বাংলাদেশের শারমিন প্রবাসীদের কল্যাণ বিষয়ে জামালপুরে এনজিওদের সাথে সমন্বয় সভা নকলায় আগাম ও বিএডিসি’র বীজআলু চাষে ব্যস্ত চাষীরা

মুজিববর্ষ উপলক্ষে মেলান্দহে ঘর ও জমি পেল ১৮০টি পরিবার

আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধনের পর জমি ও ঘরের ফাইল তুলে দেওয়া হয় উপকারভোগীদের হাতে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধনের পর জমি ও ঘরের ফাইল তুলে দেওয়া হয় উপকারভোগীদের হাতে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মুত্তাছিম বিল্লাহ, মেলান্দহ প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

২০ জুন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির মালিকানাসহ গৃহ প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরই অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে জামালপুরের মেলান্দহের ১৮০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার দুই শতাংশ জমিসহ সেমিপাকা ঘর উপহার প্রদান করা হয়েছে। এর আগে ১ম ধাপে প্রধানমন্ত্রীর জমিসহ ঘর পায় ২৬০টি পরিবার।

মেলান্দহ উপজেলা প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলামের হাত থেকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে নেন এসব পরিবারের লোকজন।

ঘর পেয়েছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মাহমুদপুর ৭৫টি, দুরমুঠ ৪টি, শ্যামপুর ২৪টি, কুলিয়া ১৮টি, নয়ানগর ১২টি, ফুলকোচা ১৭টি, আদ্রা ২৮টি, ঘোষের পাড়ায় ২টিসহ মোট ১৮০টি পরিবার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, ঘর পাওয়া মানুষদের মৌলিক অধিকার। বঙ্গবন্ধু মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ইউএনও শফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও ভূমি উপহার হিসেবে পাচ্ছেন।এই উপহার নিয়মিত দেখভাল করবেন।

উপহার পেয়ে আদ্রা ইউনিয়নের থুরী আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী রাজমিস্ত্রি হাফিজুর রহমান বলেন, আমার ঘর, জমি কিছুই ছিলো না। ঘর পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। ছেলে মেয়ে নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন।

উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর চরের সুফিয়া বেগম বলেন, ঘর পেয়ে খুশি খুশি লাগছে। আগে ঘর আছিল না। এখন পাইছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীর বাংলাদেশ যেন ৫০ বছর সুরক্ষিত থাকে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান

মুজিববর্ষ উপলক্ষে মেলান্দহে ঘর ও জমি পেল ১৮০টি পরিবার

আপডেট সময় ০৭:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধনের পর জমি ও ঘরের ফাইল তুলে দেওয়া হয় উপকারভোগীদের হাতে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মুত্তাছিম বিল্লাহ, মেলান্দহ প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

২০ জুন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির মালিকানাসহ গৃহ প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরই অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে জামালপুরের মেলান্দহের ১৮০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার দুই শতাংশ জমিসহ সেমিপাকা ঘর উপহার প্রদান করা হয়েছে। এর আগে ১ম ধাপে প্রধানমন্ত্রীর জমিসহ ঘর পায় ২৬০টি পরিবার।

মেলান্দহ উপজেলা প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলামের হাত থেকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে নেন এসব পরিবারের লোকজন।

ঘর পেয়েছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মাহমুদপুর ৭৫টি, দুরমুঠ ৪টি, শ্যামপুর ২৪টি, কুলিয়া ১৮টি, নয়ানগর ১২টি, ফুলকোচা ১৭টি, আদ্রা ২৮টি, ঘোষের পাড়ায় ২টিসহ মোট ১৮০টি পরিবার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, ঘর পাওয়া মানুষদের মৌলিক অধিকার। বঙ্গবন্ধু মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ইউএনও শফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও ভূমি উপহার হিসেবে পাচ্ছেন।এই উপহার নিয়মিত দেখভাল করবেন।

উপহার পেয়ে আদ্রা ইউনিয়নের থুরী আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী রাজমিস্ত্রি হাফিজুর রহমান বলেন, আমার ঘর, জমি কিছুই ছিলো না। ঘর পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। ছেলে মেয়ে নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন।

উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর চরের সুফিয়া বেগম বলেন, ঘর পেয়ে খুশি খুশি লাগছে। আগে ঘর আছিল না। এখন পাইছি।