লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ উপলক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রæতি দেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না, প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন ঘর পাচ্ছেন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নদীভাঙ্গা ২০০ পরিবার।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ জুন সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ আধাপাকা নতুন ঘর প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। এদিন ইসলামপুর উপজেলায় ২০০ পরিবারকে তাদের বরাদ্দের জমি ও ঘরের দলিলপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ শ্লোগানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যাদের জমিও নেই ঘরও নেই ২০০ পরিবার পুনর্বাসনের জন্য ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ২ শতাংশ জমিতে এসব ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। রান্নাঘর সংযুক্ত টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধাসহ দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অভাবী গৃহহীন নদীভাঙ্গা মানুষ স্বপ্নেও ভাবেনি তারা কোন আশ্রয় পাবে, পাঁকা ঘরে হবে তাদের বসতি। নদীগর্ভে বিলীন শেষ সম্বল হারানো এসব পরিবারের কষ্টের দিনগুলো আর থাকবে না, তারা নতুন ঘরে নতুন আশা নিয়ে নতুন দিনের স্বপ্ন বুনবে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় সরকারের ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করছেন ।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, ১২টি ইউনিয়নে এই ঘরের সুবিধা পাচ্ছেন। দুই কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা ঘরের সাথে বারান্দা, রান্না ঘর ও সংযুক্ত টয়লেটসহ নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নদীভাঙ্গা গৃহহীন ভূমিহীনদের জন্য ইসলামপুর উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০০টি ‘ক’ শ্রেণির ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। ২০ জুন প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ভূমিহীনদের উপজেলায় ২০০টি ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। ঘরগুলো পাওয়ার ফলে গৃহহীনরা খুশি হয়েছে। নদী ভাঙ্গণে এ অঞ্চলের মানুষ জর্জরিত। এসব গৃহহারা মানুষদের তালিকা করে স্বচ্ছতার মধ্যে আনতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচি আরও সফলতার মুখ দেখবে, তৃণমূলের গৃহহীন মানুষ উপকৃত হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়া ছাড়াও এসব পরিবারকে ঋণদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা ও আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র দূর করা হবে। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। যার মূল লক্ষ্য সরকারি খাস জায়গায় ভূমিহীনদের জন্য হচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই, নতুন একটি ঠিকানা। গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতেই সরকারের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।