বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আজকের মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে! একসময় এই দুই ক্লাবের খেলা মানেই ছিল উত্তেজনা আর মারামারি। বহু বছর পর আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে ফিরল উত্তেজনা। তবে সেটা সাকিব আল হাসানের কল্যাণে। ১১ জুন আবাহনীর মুশফিকুর রহিমকে এলবিডাব্লিউ না দেওয়ায় আম্পায়ারের ওপর চটে যান সাকিব। এরপর আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও তিনি বিবাদে জড়ান। শেষ পর্যন্ত জানা গেছে, সাকিব ক্ষমা চেয়েছেন এবং তাদের ঝামেলার মিটমাট হয়েছে।
ঘটনার শুরু আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের। আবাহনীর মুশফিকের কাছে একটি করে চার-ছক্কা হজমের পর শেষ বলটা দারুণভাবে ভেতরে ঢুকিয়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব। ব্যাটসম্যান মুশফিক পরাস্ত হন। এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদন উঠলেও নাকচ করে দেন আম্পায়ার। সাদা চোখে সেটাকে এলবিডাব্লিউ বলেই মনে হয়েছিল। এরপর এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে ক্ষেপে গিয়ে লাথি মেরেই স্টাম্প ভেঙে ফেলেন সাকিব! পরের ওভার শেষে ফের স্টাম্প তুলে আছাড়ও মারেন!
পরের ওভারেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। এক সময় আম্পায়ারকে আঙুল তুলে শাসাতে দেখা যায় সাকিবকে। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সাকিবসহ বাকি ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়ছিলেন। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে সাকিবকে উদ্দেশ্য করে গালি দেন আবাহনীর কয়েকজন সমর্থক। সাকিবও তাদের পাল্টা গালি দেন। এসময় আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন সাকিবের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মেনে নিতে পারেননি। তিনি রাগে গজগজ করছিলেন।
সাকিব যখন আবাহনী সমর্থকদের বকা দিচ্ছিলেন, তখন তার দিকে তেড়ে যান সুজন। তখন সুজনের সঙ্গে সাকিবের কথা কাটাকাটি লেগে যায়। খালেদ মাহমুদ সুজন ভেবেছিলেন, সাকিব তাকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলেছেন। কিন্তু সুজনকে পরে সাকিব বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, আবাহনীর সমর্থকেরা গালি দেওয়ায় তিনি তাদের পাল্টা বলেছিলেন। সুজনকে কিছু বলেননি। এরপর দুজনকেই নিজ নিজ দলের ক্রিকেটার ও স্টাফরা টেনে আলাদা করে। এরপর অবশ্য সাকিব আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে সুজনের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন।
গণমাধ্যমের কাছে আবাহনীর ম্যানেজার মাসুদ ইকবাল বলেছেন, ‘ঘটনার পর সাকিব আবাহনীর ড্রেসিংরুমে এসেছিল। সাকিব ক্ষমা চেয়েছেন। ড্রেসিংরুমে সুজনও ছিলেন। দুইজন বুক মিলিয়েছেন, মীমাংসা হয়ে গেছে।’ সাকিবের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে তাকে বড় শাস্তি পেতে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। সামনে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের সঙ্গে হোম সিরিজ; এরপর আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংকটে পড়ে গেল।