ঢাকা ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

দেওয়ানগঞ্জের হতদরিদ্র পরিবার হবে স্বাবলম্বী : উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক

দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরা ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরা ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, বিশেষ প্রতিনিধি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নে হতদরিদ্র পরিবারদের স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ার স্বপ্ন দেখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। তিনি ৯ জুন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে দুটি করে ছাগল বিতরণ করার অনুষ্ঠানে এ স্বপ্নের কথা বলেন।

এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান শাহ মো. মাসুদ। উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক মোর্শেদ ইকবাল, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ফাইন্যান্স ম্যানেজার খন্দকার শহিদুজ্জামান, এগ্রিকালচার স্পেশালিষ্ট কৃষিবিদ জহিরুল হক, বিংস প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কমল পাল, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কো-অর্ডিনেটর শাহানা পারভীনসহ কর্মকর্তাগণ।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর অংশীদারিত্বে, উন্নয়ন সংঘ বাস্তবায়নে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের গোয়ালকান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতাধীন গ্রামগুলোর হতদরিদ্র গ্রুপের সদস্যদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ করা হয়।

চেয়ারম্যান শাহ মো. মাসুদ বলেন, উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ যৌথভাবে যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আমি ডাংধরা ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি, সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যে হতদরিদ্র পরিবার দুটি করে ছাগল পেয়ে এসব লালন পালন করে পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

নির্বাহী পরিচালক সদস্যদের সদাচরণ ও মাঠকর্মীদের কাজের প্রশংসা করে বলেন, সবাই যথাযথ দায়িত্ব পালন ও সহযোগী মনোভাব থাকলে স্থায়ী ও টেকসই প্রকল্প এবং মাইলফলক হিসাবে দেখতে চাই।

ম্যানেজার খন্দকার শহিদুজ্জামান বলেন, করোনার সময়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, হাতে হাতে ছাগল নিয়ে চলে যাবেন। হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বীকরণ ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে দুটি করে মোট ২ হাজার ছাগী বিতরণ করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কৃষিবিদ জহিরুল হক বলেন, সকলকে আরও দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে, এই ছাগল দুটি হতদরিদ্র পরিবারের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে। যথাসময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও টিকা গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ছাগলপ্রাপ্ত সদস্যদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মনিটরিং করার জন্য সিডিএফ এবং সিএনপিদের পরামর্শ দেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসীদের কল্যাণ বিষয়ে জামালপুরে এনজিওদের সাথে সমন্বয় সভা

দেওয়ানগঞ্জের হতদরিদ্র পরিবার হবে স্বাবলম্বী : উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক

আপডেট সময় ০৯:৪৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
দেওয়ানগঞ্জের ডাংধরা ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, বিশেষ প্রতিনিধি

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নে হতদরিদ্র পরিবারদের স্বাবলম্বী হিসাবে গড়ার স্বপ্ন দেখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। তিনি ৯ জুন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে দুটি করে ছাগল বিতরণ করার অনুষ্ঠানে এ স্বপ্নের কথা বলেন।

এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডাংধরা ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান শাহ মো. মাসুদ। উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক মোর্শেদ ইকবাল, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ফাইন্যান্স ম্যানেজার খন্দকার শহিদুজ্জামান, এগ্রিকালচার স্পেশালিষ্ট কৃষিবিদ জহিরুল হক, বিংস প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কমল পাল, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কো-অর্ডিনেটর শাহানা পারভীনসহ কর্মকর্তাগণ।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর অংশীদারিত্বে, উন্নয়ন সংঘ বাস্তবায়নে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের গোয়ালকান্দা কমিউনিটি ক্লিনিকের আওতাধীন গ্রামগুলোর হতদরিদ্র গ্রুপের সদস্যদের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ করা হয়।

চেয়ারম্যান শাহ মো. মাসুদ বলেন, উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ যৌথভাবে যে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আমি ডাংধরা ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি, সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যে হতদরিদ্র পরিবার দুটি করে ছাগল পেয়ে এসব লালন পালন করে পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

নির্বাহী পরিচালক সদস্যদের সদাচরণ ও মাঠকর্মীদের কাজের প্রশংসা করে বলেন, সবাই যথাযথ দায়িত্ব পালন ও সহযোগী মনোভাব থাকলে স্থায়ী ও টেকসই প্রকল্প এবং মাইলফলক হিসাবে দেখতে চাই।

ম্যানেজার খন্দকার শহিদুজ্জামান বলেন, করোনার সময়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, হাতে হাতে ছাগল নিয়ে চলে যাবেন। হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বীকরণ ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে দুটি করে মোট ২ হাজার ছাগী বিতরণ করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কৃষিবিদ জহিরুল হক বলেন, সকলকে আরও দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে, এই ছাগল দুটি হতদরিদ্র পরিবারের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে। যথাসময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও টিকা গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ছাগলপ্রাপ্ত সদস্যদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মনিটরিং করার জন্য সিডিএফ এবং সিএনপিদের পরামর্শ দেন।