বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ উপদেশটা প্রায়ই শুনতে হয়- বেশি করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান। কিন্তু এই বেশি মানে কত বেশি?
কেউ যদি লাগামছাড়া ভিটামিন সি গ্রহণ করতে থাকেন, তবে কী হবে? কোন পদ্ধতিতে ভিটামিন সি খেলে সেটা শরীরের কাজে আসবে? আপনার কতটুকু ভিটামিন সি দরকার সেটাই বা জানবেন কী করে?
কেন ভিটামিন সি?
ভিটামিন সি-এর আরেক নাম অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। এটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে বেশ ভালো কাজ করে। এ ছাড়া দাঁত, হাড়, ত্বকসহ আরও কিছু টিসুর গঠনে সরাসরি অংশ নেয়।
যেকোনও ক্ষত সারাতেও এই ভিটামিন কাজ করে। ক্ষতিকর ফ্রি-রেডিক্যালের হাত থেকেও বাঁচায় এটি। সারিয়ে তুলতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত টিসু।
কার কতটুকু ভিটামিন সি দরকার?
মায়ো ক্লিনিকের মতে, ১৯ বছরের বেশি বয়সী পুরুষের জন্য দিনে ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি যথেষ্ট। নারীদের জন্য এটি ৭৫ মিলিগ্রাম। আবার গর্ভাবস্থা বা শিশুকে স্তন্যদানের সময় নারীদের দিনে ৮৫ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি-এর প্রয়োজন হয়।
আবার ধূমপায়ীদেরও এই ভিটামিনটি বেশি জরুরি। কেননা, ধূমপানের ফলে শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা কমে যায়।
ভিটামিন সি-এর পূর্ণশক্তি পেতে
ফল ও সবজি থেকেই আমরা ভিটামিন সি পাই। আর ওই ফল ও সবজি কাঁচা খেলেই এই ভিটামিন পরিপূর্ণভাবে শরীর গ্রহণ করতে পারবে। বেশিক্ষণ রান্না করা হলে পুষ্টিকর সবজিও পুষ্টিগুণ হারায়। কারণ অতিরিক্ত তাপ ভিটামিনের রাসায়নিক গঠন ভেঙে দেয়।
আবার তরকারি রান্না করা হলে অনেক ভিটামিন ঝোলেই থেকে যায়। তাই যতটা সম্ভব ভিটামিন সি যুক্ত খাবার কাঁচা খাওয়াই উত্তম।
মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে যা হবে
অতিরিক্ত ভিটামিন এমনিতে মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তবে ভিটামিন সি বেশি বেশি গ্রহণে শরীরের ভিটামিন শোষণক্ষমতা কমে আসতে থাকে। আর অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণের সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলো হলো-
- ডায়রিয়া
- বমি বমি ভাব বা বমি
- বুকে জ্বালাপোড়া
- তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা
- মাথাব্যথা
- অনিদ্রা
তাই একান্ত প্রয়োজন ও পরীক্ষা ছাড়া ভিটামিন সি-এর সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। ভিটামিন সি-এর দৈনিক চাহিদা আমাদের প্রতিদিনকার খাবার থেকেই পূরণ করা সম্ভব।তথ্যসূত্র: মায়ো ক্লিনিক।