বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাম্য সমিতির কিস্তি নেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। এলাকার মানুষ এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মদনেরচর তালতলা গ্রামে সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত কিস্তি উত্তোলন নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে গত ২১ মে দুপুরে চাঁন মিয়ার ছেলে ছামরুল হককে একই গ্রামের ছাতু শেখের ছেলে কাইলি শেখ মারপিট করেন। এঘটনায় ছামরুল হক বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কাইলি শেখ আরও ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি লাল মিয়ার ছেলে আলতাব হোসেনের সাথে একই গ্রামের ইছর উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু শেখের কথাকাটাকটি হয়।
গত ২৩ মে সকালে তালতলা জামে মসজিদের পাশে পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাচ্চু শেখ, কাইলি শেখ, খরানো শেখের ছেলে শহিদুল্লাহ, ছাকাত শেখের ছেলে মো. সাইবাল্লী, জিন্নাত আলী, কাইলি শেখের ছেলে ফরিদ মিয়া, রঞ্জু মিয়া, রফিক মিয়া তাদের দলবলসহ রাম দা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া, তার ছেলে বকুল মিয়া, আবু কালাম, সোনা মিয়া, আবদুল করিমের ওপর হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়াসহ উপস্থিত তার স্বজনদেরকে ব্যাপক রক্তাক্ত জখম করা হয়। বেধড়ক পেটানোর ফলে তারা মারাত্মকভাবে আহত হয়। হামলা ও রক্তাক্ত জখম করে তারা বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে স্থানীয়রা আহত বকুল মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া, মিষ্টার আলী, মিনা বেগম, আবদুল করিম, সোনা মিয়া ও আবু কালামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বকুল মিয়া, মিষ্টার আলী ও আবদুল করিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বাকিদের মধ্যে আবু কালাম, মিনা বেগম ও সোনা মিয়াকে শেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এছাড়াও পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় মারাত্মক আহত বকুল মিয়াকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিরীহ মানুষ ও আওয়ামী লীগ সভাপতির ওপর হামলার ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। হামলা, পেটানো ও মারধরের ঘটনায় ২৫ মে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়ার ছেলে আলতাব হোসেন।
এ দিকে এ ঘটনার জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকার মানুষ। তারা বলেন, যেভাবে মানুষগুলোর ওপর হামলা করা হয়েছে তা খুবই নিন্দনীয়। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে এলাকার মানুষ দাবি জানিয়েছেন।