বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ের ১৪২টি পরিবারের পর নতুন করে সরকারি খাস জমিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে সরকারি ঘর পাচ্ছেন আরও ৫০টি পরিবার। এতে করে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন এই অসহায় পরিবারগুলো। ইতোমধ্যে ৫০টি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঘর নির্মাণ কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন হতে চলেছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে ঘর নির্মাণের কাজ প্রতিনিয়ত দেখভাল করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা।
পাশাপাশি গত ২৪ মে জামালপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন ইউনিয়নের এসব ঘরের নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন অর্থাৎ যাদের জমিও নেই ঘরও নেই তাদের পুনর্বাসনের জন্য নতুন করে ৫০টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘরগুলো নির্মাণ কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।
২ শতাংশ খাস জমিতে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা ঘরের সাথে বারান্দা, রান্না ঘর ও সংযুক্ত টয়লেটসহ নির্মাণ করা হবে। তবে ঘরের উচ্চতা প্রথম পযায়ের ঘরের চেয়ে এক ফুট বাড়ানো হয়েছে। ৩টি দরজার পরিবর্তে নতুন ডিজাইনে ৪টি করে দরজা দেওয়া হচ্ছে।
ঘর নির্বাচনের ব্যাপারে নতুনত্ব আনা হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষ এবার ঘরের সুবিধা পাবে। এর মধ্যে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠি রবিদাস সম্প্রদায়, তৃতীয় লিংগের মানুষ, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী ও বৃদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সাধুরপাড়া, ধানুয়া কামালপুর, বগারচর, বকশীগঞ্জ সদর, পৌরসভা, বাট্টাজোড় ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে ৫০টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ঘরের উপকারভোগীদের নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেহেদী হাসান টিটু ঘরগুলো নির্মাণ কাজ পরিদর্শন ও তদারকি করছেন।
তারা ঘর নির্মাণ কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত ঘরগুলো পরিদর্শন করার পাশাপাশি উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হলে স্বল্প সময়ের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার হিসেবে গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।