ঢাকা ১১:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল গঠনমূলক সম্পর্ক চায় : ভার্মা দেওয়ানগঞ্জে লাভজনক হয়ে উঠেছে পানিফল চাষ জিলবাংলা সুগার মিল : বেড়েছে আখের উৎপাদন, বাড়বে চিনি উৎপাদনও জামালপুর পৌরসভায় স্যানিটেশন উপ-আইন প্রণয়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ডিগ্রিরচর বাজারে নির্মিত হচ্ছে শেডঘর, ব্যয় হবে ৭০ লাখ টাকা প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় জামালপুর ডিসির অঙ্গীকার খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজ : সভাপতি এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিদ্যোৎসাহী কাফি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নেই শান্ত-মুশফিক-হৃদয়, এক বছর পর দলে ফিরলেন আফিফ ব্রিকসকে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

ইসলামপুরে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে খোলা চিঠি

খোলা চিঠি দেখে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও এস. এম. মাজহারুল ইসলাম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

খোলা চিঠি দেখে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও এস. এম. মাজহারুল ইসলাম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর রেল ষ্টেশনকে টিকিট কালোবাজারি মুক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোলা চিঠি দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক রেলযাত্রী।

দ্রুত আইনত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস. এম. মাজহারুল ইসলাম।

২৭ মে দুপুরে রেল স্টেশন এলাকায় টিকিট কালোবাজারিদের প্রতিহত করতে তিনি স্টেশন এলাকায় অভিযান চালান।

‘রেল স্টেশন এলাকা টিকিট কালোবাজারিদের উৎপীড়ন বন্ধ করতে খোলাচিঠি’ শিরোনামে ইসলামপুর আসনের এমপি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল ও পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বরাবর ‘প্রিয় ইসলামপুর’ নামে একটি ফেসবুক আইডিতে খোলা চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে জানা যায়, ইসলামপুর উপজেলার মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম হলো ট্রেন। কিন্তু গত ৩০ বছরে স্টেশনটি দুর্নীতি ও ব্ল্যাকারমুক্ত হয়নি। সকাল ৬টা থেকে অনলাইনে টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ ট্রেনযাত্রীদের নিকট টিকিট যেন সোনার হরিণ। টিকিট চলে যায় সংঘবদ্ধ কালোবাজারিদের কব্জায়। প্রতিদিন ট্রেনযাত্রীরা ভোগান্তি শেষে ২২৫ টাকার টিকিট ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং ৪৬০ টাকার টিকিট ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনতে বাধ্য হন। খোলা চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, সবচেয়ে খারাপ লাগার বিষয় হলো, যেসকল পুলিশ সদস্য ওখানে কালোবাজারিদের প্রতিহত করার কাজে নিয়োজিত, তারাও যেনো উদাসীন এবং প্রকাশ্যে কালোবাজারিদেরকে সহযোগিতা করে। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই পদক্ষেপ নিয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ বহুবার অভিযান চালিয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। কোনো অদৃশ্য শক্তির বলে আবার সেই একই অবস্থা। বাহিরের জেলা থেকে কোনো লোক এসে এই দৃশ্য দেখে এলাকা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য পোষন করেন। যা আমাদের এত উন্নয়নের পরে লজ্জা পেতে হয়।

খোলা চিঠিটির শেষাংশে লেখা, আশা রাখি, মন্ত্রী মহোদয়ের সদিচ্ছা, আধুনিক পৌরসভা গঠন, দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা গঠন এবং নাগরিক সুবিধাকে বেগবান করার লক্ষ্যে উপরোক্ত বিষয়ের প্রতি সজাগ দৃষ্টি এবং সরাসরি তদারকি করে আশু সমস্যার সমাধান করবেন। প্রয়োজনে কালোবাজারিদের কাজের ব্যবস্থা এবং সরকারি লোক যাঁরা সহযোগী তাদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস. এম. মাজহারুল ইসলাম জানান, রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে ফেসবুকে একটি খোলা চিঠি দেখে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করি। টিকিট কালোবাজারিদের প্রতিহত করতে অভিযান চলমান থাকবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘এক বিজয় করেছো, আরেক বিজয় আসবে’, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা

ইসলামপুরে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে খোলা চিঠি

আপডেট সময় ০৯:০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১
খোলা চিঠি দেখে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও এস. এম. মাজহারুল ইসলাম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর রেল ষ্টেশনকে টিকিট কালোবাজারি মুক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোলা চিঠি দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক রেলযাত্রী।

দ্রুত আইনত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস. এম. মাজহারুল ইসলাম।

২৭ মে দুপুরে রেল স্টেশন এলাকায় টিকিট কালোবাজারিদের প্রতিহত করতে তিনি স্টেশন এলাকায় অভিযান চালান।

‘রেল স্টেশন এলাকা টিকিট কালোবাজারিদের উৎপীড়ন বন্ধ করতে খোলাচিঠি’ শিরোনামে ইসলামপুর আসনের এমপি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল ও পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বরাবর ‘প্রিয় ইসলামপুর’ নামে একটি ফেসবুক আইডিতে খোলা চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে জানা যায়, ইসলামপুর উপজেলার মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম হলো ট্রেন। কিন্তু গত ৩০ বছরে স্টেশনটি দুর্নীতি ও ব্ল্যাকারমুক্ত হয়নি। সকাল ৬টা থেকে অনলাইনে টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু সাধারণ ট্রেনযাত্রীদের নিকট টিকিট যেন সোনার হরিণ। টিকিট চলে যায় সংঘবদ্ধ কালোবাজারিদের কব্জায়। প্রতিদিন ট্রেনযাত্রীরা ভোগান্তি শেষে ২২৫ টাকার টিকিট ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং ৪৬০ টাকার টিকিট ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনতে বাধ্য হন। খোলা চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, সবচেয়ে খারাপ লাগার বিষয় হলো, যেসকল পুলিশ সদস্য ওখানে কালোবাজারিদের প্রতিহত করার কাজে নিয়োজিত, তারাও যেনো উদাসীন এবং প্রকাশ্যে কালোবাজারিদেরকে সহযোগিতা করে। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই পদক্ষেপ নিয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ বহুবার অভিযান চালিয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। কোনো অদৃশ্য শক্তির বলে আবার সেই একই অবস্থা। বাহিরের জেলা থেকে কোনো লোক এসে এই দৃশ্য দেখে এলাকা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য পোষন করেন। যা আমাদের এত উন্নয়নের পরে লজ্জা পেতে হয়।

খোলা চিঠিটির শেষাংশে লেখা, আশা রাখি, মন্ত্রী মহোদয়ের সদিচ্ছা, আধুনিক পৌরসভা গঠন, দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা গঠন এবং নাগরিক সুবিধাকে বেগবান করার লক্ষ্যে উপরোক্ত বিষয়ের প্রতি সজাগ দৃষ্টি এবং সরাসরি তদারকি করে আশু সমস্যার সমাধান করবেন। প্রয়োজনে কালোবাজারিদের কাজের ব্যবস্থা এবং সরকারি লোক যাঁরা সহযোগী তাদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস. এম. মাজহারুল ইসলাম জানান, রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে ফেসবুকে একটি খোলা চিঠি দেখে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করি। টিকিট কালোবাজারিদের প্রতিহত করতে অভিযান চলমান থাকবে।