: জাহিদুর রহমান উজ্জল :
জীবন্ত ভাস্কর্য হলো বনসাই। সেই ১ ফুট উচ্চতার ১৩ বছর বয়সের কৃষ্ণচূড়ার বনসাইয়ে লাল ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। মনোরম সৌন্দর্য্যের এই বনসাইটি শোভা পাচ্ছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক মির্জা জিল্লুর রহমান শিপনের বাসভবনে।
অপরূপ দেখতে এই বনসাইটি ১৩ বছর ধরে যত্ন ও লালন করছেন মির্জা শিপন ও তার স্ত্রী আফসারী জামান তানমী। এবার গ্রীষ্মকালে গাছ জুড়ে লাল ফুল ফুটেছে। অনেক দর্শনাথী এই ফুল দেখেতে আসেন। এবার এই ১ ফুট উচ্চতার গাছে ফুল ফুটায় তারা আনন্দিত। এবং তাদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছেন বলে জানান।
মির্জা জিল্লুর রহমান শিপন জানান, ছোট বেলায় গাছের প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি বিভিন্ন ফল ও ফুল গাছ সংগ্রহ করতেন। সেই শখ থেকে ১৩ বছর আগে তিনি স্থানীয় নাসার্রী থেকে এই বনসাই কৃষ্ণচূড়া গাছটি সংগ্রহ করেন। প্রতিদিনের অব্যাহত যত্নে তিনি এ বছর গাছে ফুল ফুটাতে পেরেছেন।
তিনি জানান, তার বাগান ও ছাদ বাগানে অনেক ফুল ও ফলের গাছে রয়েছে। তিনি নিজেও বনসাই তৈরি করতে পারেন। তার সংগ্রহে বট, অশ্বথসহ অনেক গাছের বনসাই রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জীবন্ত ভাস্কর্য হলো বনসাই। তাই গাছের প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি বনসাই সংগ্রহ করেন। তিনি তার ডুপ্লেক্স বাড়ির লনে এই গাছ রেখেছেন। আগ্রহী অনেক এই বাড়িতে গিয়ে বনসাইটিকে দেখে আসেন।
বনসাই সম্পর্কে জানা যায়, প্রায় ২ হাজার বছর পূর্বে চিনে এই বনসাই এর যাত্রা শুরু হয়। পরে জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনামে বিস্তার লাভ করে।
বনসাই এই দেশে শৈখিন মানুষ ঘর সাজাতে এবং শখ হিসাবে এ সব বনসাই ব্যবহার করে থাকেন।