ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগামীর বাংলাদেশ যেন ৫০ বছর সুরক্ষিত থাকে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান জিল বাংলা সুগার মিলে আখ মাড়াই শুরু নরুন্দিতে প্রতিপক্ষের পিটুনিতে একজন কৃষক নিহত ভারতের অপতথ্য প্রচারে আমাদের কোন ক্ষতি নেই : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত আগামীকাল একই সারিতে থাকবে পৃথিবী-সূর্য-বৃহস্পতি ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প গ্লোবাল সুপার লিগ: লাহোরকে হারিয়ে ফাইনালে রংপুর আইসিসির নভেম্বরের সেরার লড়াইয়ে মনোনীত বাংলাদেশের শারমিন প্রবাসীদের কল্যাণ বিষয়ে জামালপুরে এনজিওদের সাথে সমন্বয় সভা নকলায় আগাম ও বিএডিসি’র বীজআলু চাষে ব্যস্ত চাষীরা

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি : জীবিত উদ্ধার ৩৩ জনের সবাই বাংলাদেশি

প্রতি বছর বিপদজনকভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ।

প্রতি বছর বিপদজনকভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ।

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাবার পথে অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা সাগরে ডুবে যাওয়ায় এখনো ৫০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। খবর বিবিসি’র।

নৌকা ডুবে যাবার পর সাগর থেকে যে ৩৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের সবাই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বা আইওএম।

আইওএম-এর ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার সমন্বয়ক ফ্ল্যাভিও ডি গিয়াকোমো এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিউনিসিয়ার এসফ্যাক্স উপকূলে একটি জাহাজ ডুবে যাবার ঘটনা ঘটেছে।

আইওএম কর্মকর্তা জানান, “সম্ভবত ৫০জন অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবাই বাংলাদেশ থেকে এসেছে।”

অভিবাসন প্রত্যাশীরা লিবিয়ার জাওয়ারা থেকে রওনা দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন আইওএম কর্মকর্তা।

তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ জেকরি জানিয়েছেন, সমুদ্রে তেলের খনিতে কর্মরত শ্রমিকরা একটি নৌকা ডুবে যেতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। এরপর সে এলাকায় নৌবাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এদিকে তিউনিসিয়ার রেডক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে রওনা হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেবার সময় অন্তত ৫৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ডুবে গেছে।

রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মঞ্জি স্লেম জানান, ৩৩জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যারা সবাই বাংলাদেশি। এই নৌকাটি ৯০ জনের মতো যাত্রী বহন করছিল বলে জানান তিনি।

তিউনিসিয়ার বার্তা সংস্থা টিএপি জানিয়েছে, সোমবার তিউনিসিয়ার উপকূলে আরেকটি নৌকা যখন ডুবে যাচ্ছিল, তখন নৌবাহিনী ১১৩ জনকে উদ্ধার করেছে। তারা সবাই বাংলাদেশ, মরক্কো এবং সাব-সাহারা আফ্রিকার অধিবাসী।

অবৈধভাবে যারা ইউরোপে ঢুকতে চায়, তাদের জন্য সুবিধাজনক জায়গা হচ্ছে লিবিয়া। বাংলাদেশ থেকে অনেকে নানা উপায়ে লিবিয়া পৌঁছে। এরপর নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অনেকে ইটালি পৌঁছেছে। পাশাপাশি সাগরে ডুবে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।

২০১৯ সালের মে মাসে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাবার পথে সাগরে ডুবে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ৪০ বাংলাদেশি।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাবার পথে সাগরে ডুবে মৃত্যু ঘটনা থামছেই না। অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকাতে সাগরে নজরদারি বাড়ালেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকে সাগর পাড়ি দিচ্ছেন।

আইওএম-এর হিসেবে ২০২১ সালের পাঁচ মাসে আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি এবং মল্টা যাবার পথে সাগরে ডুবে ৫০০’র বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীর বাংলাদেশ যেন ৫০ বছর সুরক্ষিত থাকে : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি : জীবিত উদ্ধার ৩৩ জনের সবাই বাংলাদেশি

আপডেট সময় ০৯:০৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মে ২০২১
প্রতি বছর বিপদজনকভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ।

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাবার পথে অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি নৌকা সাগরে ডুবে যাওয়ায় এখনো ৫০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। খবর বিবিসি’র।

নৌকা ডুবে যাবার পর সাগর থেকে যে ৩৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের সবাই বাংলাদেশি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বা আইওএম।

আইওএম-এর ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার সমন্বয়ক ফ্ল্যাভিও ডি গিয়াকোমো এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিউনিসিয়ার এসফ্যাক্স উপকূলে একটি জাহাজ ডুবে যাবার ঘটনা ঘটেছে।

আইওএম কর্মকর্তা জানান, “সম্ভবত ৫০জন অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবাই বাংলাদেশ থেকে এসেছে।”

অভিবাসন প্রত্যাশীরা লিবিয়ার জাওয়ারা থেকে রওনা দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন আইওএম কর্মকর্তা।

তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ জেকরি জানিয়েছেন, সমুদ্রে তেলের খনিতে কর্মরত শ্রমিকরা একটি নৌকা ডুবে যেতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। এরপর সে এলাকায় নৌবাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এদিকে তিউনিসিয়ার রেডক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে রওনা হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেবার সময় অন্তত ৫৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ডুবে গেছে।

রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মঞ্জি স্লেম জানান, ৩৩জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যারা সবাই বাংলাদেশি। এই নৌকাটি ৯০ জনের মতো যাত্রী বহন করছিল বলে জানান তিনি।

তিউনিসিয়ার বার্তা সংস্থা টিএপি জানিয়েছে, সোমবার তিউনিসিয়ার উপকূলে আরেকটি নৌকা যখন ডুবে যাচ্ছিল, তখন নৌবাহিনী ১১৩ জনকে উদ্ধার করেছে। তারা সবাই বাংলাদেশ, মরক্কো এবং সাব-সাহারা আফ্রিকার অধিবাসী।

অবৈধভাবে যারা ইউরোপে ঢুকতে চায়, তাদের জন্য সুবিধাজনক জায়গা হচ্ছে লিবিয়া। বাংলাদেশ থেকে অনেকে নানা উপায়ে লিবিয়া পৌঁছে। এরপর নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অনেকে ইটালি পৌঁছেছে। পাশাপাশি সাগরে ডুবে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে।

২০১৯ সালের মে মাসে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাবার পথে সাগরে ডুবে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ৪০ বাংলাদেশি।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাবার পথে সাগরে ডুবে মৃত্যু ঘটনা থামছেই না। অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকাতে সাগরে নজরদারি বাড়ালেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকে সাগর পাড়ি দিচ্ছেন।

আইওএম-এর হিসেবে ২০২১ সালের পাঁচ মাসে আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি এবং মল্টা যাবার পথে সাগরে ডুবে ৫০০’র বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছে।