জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুর সদরের তুলসীরচর ইউনিয়নের গারামারা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উড়না দিয়ে গলায় কলসিবাঁধা অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৮ মে ভোরে গারামারা এলাকায় ভাটির দিকে ভেসে যাচ্ছিল মরদেহটি। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৮ মে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে জামালপুর সদর উপজেলার তুলসীরচর ইউনিয়নের গারামারা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে এক নারীর মরদেহ ভেসে ভাটির দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয়রা ওই নারীর গলায় উড়না দিয়ে বাঁধা কালো রঙের একটি বড় কলসিও দেখতে পায়। মরদেহ ভেসে যাওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে সেখানে বহু উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে গারামারা এলাকার আওতাধীন বারুয়ামারী ও নিকটবর্তী নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বেলা পৌনে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত উৎসুক লোকজনের কেউ ওই নারীকে শনাক্ত করতে পারেনি। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর গলায় কলসিবেঁধে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসী ও পুলিশ ধারণা করছে।
স্থানীয় বারুয়ামারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ব্রহ্মপুত্রে ভাসমান ওই নারীর কোন পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার পরনে একটি ম্যাক্সিজামা রয়েছে। মরদেহে এখনও পঁচন ধরেনি। তবে পেট ফুলে গেছে। তার শরীরে আঘাতের কোন ক্ষত পাওয়া যায়নি। সেই দিক থেকে মনে হচ্ছে দুর্বৃত্তরা ১৭ মে ভোরে বা দিনের কোন এক সময় তাকে হত্যা করে গলায় কলসিবেঁধে ব্রহ্মপুত্রে ভাসিয়ে দিয়েছিল। কলসি ও উড়নাটি জব্ধ করা হয়েছে। ওই নারীর মরদেহ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারীর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক পর্যায়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। পরবর্তীতে তার পরিচয় এবং স্বজনদের কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই নারীর পরিচয়সহ এ ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন ও জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান ওসি।