সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম
শেরপুর জেলা শহরের মোবারকপুর এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া কুকুরের আক্রমণে আহত হয়েছে অন্তত ২৫টি গরু। ১৩ মে ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গত ১৫ দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে কুকুরের কামড়ে শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনায় জনসাধারণের মাঝে কুকুর আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, শেরপুর শহরের মোবারকপুর এলাকায় ৮-১০টি পাগলা কুকুর সকাল থেকে মানুষ ও গৃহপালিত পশুকে কামড়িয়ে আহত করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিশু ও নারীসহ ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কুকুরের দলের আক্রমণে আহত হয়েছে অন্তত ২৫টি গরু। সংঘবদ্ধ ওই কুকুরের দলকে ধরতে স্থানীয়রা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিকে হাসপাতালের স্টোর রুম বন্ধ থাকায় মিলছে না প্রতিষেধক। তাই আহতদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। প্রতিটি ভ্যাকসিনের দাম পড়ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে আহতরা। অনেকে টাকার অভাবে কিনতে পারছেনা ভ্যাকসিন।
ভুক্তভোগী আয়শা বেগম বলেন, প্রায় প্রতিদিনই পাগলা কুকুরের দল মানুষজনকে কামড়াচ্ছে। আমরা ঘরের বাইরে যেতে পারছি না। এছাড়া কুকুরের আক্রমণের ভয়ে শিশুরা ঘরের বাইরে বের হতে পারছেনা।
ভুক্তভোগী শাহজাহান মিয়া বলেন, কুকুর কামড়ানোর পর হাসপাতালে গেলেও আমরা ভ্যাকসিন পাই নাই। বাইরে থেকে ওষুধপত্র কিনতে হচ্ছে। গরীব অসহায় মানুষ ভ্যাকসিন কিনতে পারছেনা। তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অন্যদিকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা খাইরুল কবির সুমন বলেন, আজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ছাড়া সব বিভাগ বন্ধ রয়েছে। কুকুরের ভ্যাকসিন রাখা স্টোর রুমও বন্ধ। ঈদের পর হাসপাতাল খুললে বিনামূল্যের ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। আপাতত প্রথম ডোজের ভ্যাকসিনটা বাইরে থেকে কিনতে হবে।