ঢাকা ০২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি : মির্জা ফখরুল ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি সহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দলের আবেদন কমিশনে মাদারগঞ্জে ১২৮ জনকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিলো মোজাম্মেল মমতাজ ফাউন্ডেশন জামালপুর রেলওয়ে পুলিশের অভিযানে ৫৮টি টিকিটসহ দুই টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার জামালপুরে বৈশাখী লোকনাট্য উৎসব শুরু : ধুয়া গানের আসরে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা গণঅধিকার পরিষদ বকশীগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ রোবডোজার গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের নতুন যুদ্ধ যন্ত্র ট্রাম্পের আমলে অতি ধনী ও টেক জায়ান্টদের ওপর কর আরোপ থেমে গেছে

জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ওয়াসিম আর নেই

ওয়াসিম

ওয়াসিম

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের সুপারস্টার, এক সময়ের পর্দা কাঁপানো নায়ক, ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ওয়াসিম আর নেই৷

১৭ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বাসসকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াসিম বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়িকা রোজীর ছোট বোনকে। তাদের দুটি সন্তান। পুত্র দেওয়ান ফারদিন এবং কন্যা বুশরা আহমেদ। ২০০০ সালে তার স্ত্রী মারা যায়। ২০০৬ সালে ওয়াসিমের কন্যা বুশরা আহমেদ চৌদ্দ বছর বয়সে মারা যান। অন্যদিকে পুত্র ফারদিন লন্ডনের কারডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ব্যারিস্টার হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত।

১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ চাঁদপুর মতলব উত্তরের আমিরাবাদ এলাকার ফরাজিকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন। ওয়াসিম নামে পরিচিত হলেও তার আসল নাম মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন একসময়ের দর্শকপ্রিয় এই নায়ক।

কলেজের ছাত্রাবস্থায় তিনি বডি বিল্ডার হিসেবে নাম করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বডি বিল্ডিং এর জন্য ইস্ট পাকিস্তান খেতাব অর্জন করেছিলেন।

তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের অ্যাকশন এবং লোক ফ্যান্টাসির নায়ক হিসেবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হত। প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক এস এম শফীর হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে ওয়াসিমের। ১৯৭২ সালে শফী পরিচালিত ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হন তিনি। এতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৭৪ সালে আরেক প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ তার। চলচ্চিত্রটির অসামান্য সাফল্যে রাতারাতি সুপারস্টার বনে যান তিনি। ওয়াসিম ১৫২টির মতো ছবিতে নায়ক ছিলেন। অল্প কিছু ছবি ছাড়া প্রতিটি ছবিই সুপারহিট হয়েছিল। ‘দি রেইন’ তাকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। পৃথিবীর ৪৬টি দেশে ‘দি রেইন’ মুক্তি পেয়েছিল। ছবিতে ওয়াসিমের নায়িকা অলিভিয়া। পরবর্তী সময়ে ওয়াসিম-অলিভিয়া জুটি বেঁধে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। ‘বাহাদুর’ এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া লুটেরা, লাল মেম সাহেব, বেদ্বীন প্রভৃতিও সফল হয়েছিল। শাবানা, সুচরিতা, অঞ্জু ঘোষ, সুজাতার বিপরীতেও তিনি অভিনয় করেছিলেন। তবে শাবানা আর অলিভিয়ার সঙ্গে ওয়াসিম যেসব ছবিতে অভিনয় করেছেন তার প্রতিটিই ব্যবসাসফল হয়েছিল। ‘রাজ দুলারী’তে ওয়াসিম ও শাবানার অভিনয় সেদিন দর্শকদের দারুণ মুগ্ধ করেছিল। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রে শীর্ষ নায়কদের একজন ছিলেন ওয়াসিম।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ

জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ওয়াসিম আর নেই

আপডেট সময় ১২:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১
ওয়াসিম

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের সুপারস্টার, এক সময়ের পর্দা কাঁপানো নায়ক, ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ওয়াসিম আর নেই৷

১৭ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বাসসকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াসিম বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়িকা রোজীর ছোট বোনকে। তাদের দুটি সন্তান। পুত্র দেওয়ান ফারদিন এবং কন্যা বুশরা আহমেদ। ২০০০ সালে তার স্ত্রী মারা যায়। ২০০৬ সালে ওয়াসিমের কন্যা বুশরা আহমেদ চৌদ্দ বছর বয়সে মারা যান। অন্যদিকে পুত্র ফারদিন লন্ডনের কারডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ব্যারিস্টার হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত।

১৯৫০ সালের ২৩ মার্চ চাঁদপুর মতলব উত্তরের আমিরাবাদ এলাকার ফরাজিকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন। ওয়াসিম নামে পরিচিত হলেও তার আসল নাম মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন একসময়ের দর্শকপ্রিয় এই নায়ক।

কলেজের ছাত্রাবস্থায় তিনি বডি বিল্ডার হিসেবে নাম করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে তিনি বডি বিল্ডিং এর জন্য ইস্ট পাকিস্তান খেতাব অর্জন করেছিলেন।

তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের অ্যাকশন এবং লোক ফ্যান্টাসির নায়ক হিসেবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হত। প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক এস এম শফীর হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে ওয়াসিমের। ১৯৭২ সালে শফী পরিচালিত ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হন তিনি। এতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৭৪ সালে আরেক প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ তার। চলচ্চিত্রটির অসামান্য সাফল্যে রাতারাতি সুপারস্টার বনে যান তিনি। ওয়াসিম ১৫২টির মতো ছবিতে নায়ক ছিলেন। অল্প কিছু ছবি ছাড়া প্রতিটি ছবিই সুপারহিট হয়েছিল। ‘দি রেইন’ তাকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। পৃথিবীর ৪৬টি দেশে ‘দি রেইন’ মুক্তি পেয়েছিল। ছবিতে ওয়াসিমের নায়িকা অলিভিয়া। পরবর্তী সময়ে ওয়াসিম-অলিভিয়া জুটি বেঁধে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন। ‘বাহাদুর’ এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া লুটেরা, লাল মেম সাহেব, বেদ্বীন প্রভৃতিও সফল হয়েছিল। শাবানা, সুচরিতা, অঞ্জু ঘোষ, সুজাতার বিপরীতেও তিনি অভিনয় করেছিলেন। তবে শাবানা আর অলিভিয়ার সঙ্গে ওয়াসিম যেসব ছবিতে অভিনয় করেছেন তার প্রতিটিই ব্যবসাসফল হয়েছিল। ‘রাজ দুলারী’তে ওয়াসিম ও শাবানার অভিনয় সেদিন দর্শকদের দারুণ মুগ্ধ করেছিল। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রে শীর্ষ নায়কদের একজন ছিলেন ওয়াসিম।সূত্র:বাসস।