ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি : মির্জা ফখরুল ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি সহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দলের আবেদন কমিশনে মাদারগঞ্জে ১২৮ জনকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিলো মোজাম্মেল মমতাজ ফাউন্ডেশন জামালপুর রেলওয়ে পুলিশের অভিযানে ৫৮টি টিকিটসহ দুই টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার জামালপুরে বৈশাখী লোকনাট্য উৎসব শুরু : ধুয়া গানের আসরে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা গণঅধিকার পরিষদ বকশীগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ রোবডোজার গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের নতুন যুদ্ধ যন্ত্র ট্রাম্পের আমলে অতি ধনী ও টেক জায়ান্টদের ওপর কর আরোপ থেমে গেছে

দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনার নতুন ধরন

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ দক্ষিণ আফ্রিকায় আধিপত্য বিস্তার করা করোনাভাইরাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধরনটি কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে ধরা পড়েছে। কিন্তু ভয়ঙ্কর এই ধরনটি এখন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

সম্প্রতি আইসিডিডিআরবি এর করা একটি গবেষণায় এমন চিত্রই উঠে এসেছে। ফলে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার সাম্প্রতিক হার বেশ চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

আইসিডিডিআরবি বলছে, দেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের সঙ্গে পুরোপুরি মিল আছে।

পয়লা জানুয়ারি থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৫১টি নমুনা পজেটিভ আসে। ৬ জানুয়ারি প্রথম ব্রিটেনের ধরনটি শনাক্ত হয় এবং মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই ধরনটি বাংলাদেশে বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু ১৮ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে করোনা পজেটিভ রোগীদের ৫৭ টি নমুনার জিনোমিক ক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে ৮০ শতাংশের বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের সঙ্গে পুরোপুরি মিল আছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

অথচ মার্চের প্রথম সপ্তাহে (৫ থেকে ১১ মার্চের মধ্যে) দেশের ১৩ টি জেলা থেকে প্রায় ৩০ টি নমুনার জিনোমিক ক্রম সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণের কোন অস্তিত্বই ছিল না।

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে বুধবারও (৭ এপ্রিল) রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও অনেক বেড়েছে। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৪৪৭ জনে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৬৬ জনের মৃত্যু হয়। আর সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জনে।

আপলোডকারীর তথ্য

সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ

দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনার নতুন ধরন

আপডেট সময় ০১:১১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ দক্ষিণ আফ্রিকায় আধিপত্য বিস্তার করা করোনাভাইরাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধরনটি কিছুদিন আগেই বাংলাদেশে ধরা পড়েছে। কিন্তু ভয়ঙ্কর এই ধরনটি এখন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

সম্প্রতি আইসিডিডিআরবি এর করা একটি গবেষণায় এমন চিত্রই উঠে এসেছে। ফলে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার সাম্প্রতিক হার বেশ চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

আইসিডিডিআরবি বলছে, দেশে শনাক্ত করোনাভাইরাসের ধরনগুলোর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের সঙ্গে পুরোপুরি মিল আছে।

পয়লা জানুয়ারি থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৫১টি নমুনা পজেটিভ আসে। ৬ জানুয়ারি প্রথম ব্রিটেনের ধরনটি শনাক্ত হয় এবং মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই ধরনটি বাংলাদেশে বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু ১৮ থেকে ২৪ মার্চের মধ্যে করোনা পজেটিভ রোগীদের ৫৭ টি নমুনার জিনোমিক ক্রম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দেশে ৮০ শতাংশের বেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের সঙ্গে পুরোপুরি মিল আছে। অর্থাৎ, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

অথচ মার্চের প্রথম সপ্তাহে (৫ থেকে ১১ মার্চের মধ্যে) দেশের ১৩ টি জেলা থেকে প্রায় ৩০ টি নমুনার জিনোমিক ক্রম সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণের কোন অস্তিত্বই ছিল না।

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে বুধবারও (৭ এপ্রিল) রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও অনেক বেড়েছে। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৪৪৭ জনে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ৬৬ জনের মৃত্যু হয়। আর সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জনে।