ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ জামালপুর সদর উপজেলা মৎস্যজীবীদলের সভাপতি হলেন সাইদুর, সম্পাদক জয়নাল সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপেও জয়ের ধারা ধরে রাখতে চান আফঈদা যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার সম্মতি পেয়েছে ইসি মাদারগঞ্জে ট্রলি-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, এক কিশোরের পা বিচ্ছিন্ন ওসি খন্দকার শাকের জামালপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত ৪৮ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে বৃত্তির চেক দিল জামালপুর জেলা পরিষদ মেলান্দহে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তালবীজ রোপণ বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে জামায়াত নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জামালপুরে যেভাবে চলছে লকডাউন

লকডাউনের কারণে জামালপুরের শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লকডাউনের কারণে জামালপুরের শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

গণপরিবহন বিশেষ করে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকলেও ৫ এপ্রিল প্রথমদিনে জামালপুর জেলার সর্বত্র অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছে। ৬ এপ্রিল থেকে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

সরজমিনে ঘুরে দেখা দেছে, লকডাউনের প্রথমদিন ৫ এপ্রিল সকাল থেকে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোসহ সারাদেশের সাথে জামালপুরের গণপরিবহন যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে জেলার সর্বত্র অন্যান্য দিনের তুলনায় স্বল্পসংখ্যক সিএনজি অটোরিকশা ও ইজিবাইকে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। সকালের দিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে কিছু দোকান, শোরুম খোলা রাখার চেষ্টা করা হলেও জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কড়া নজরদারির কারণে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। শহরের কোথাও হোটেল রেস্তোরাঁ এমনকি রাস্তার পাশে চায়ের দোকানগুলোও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শহরের আনন্দগঞ্জ বাজার ও স্টেশন বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলোয় শুধুমাত্র কাঁচাবাজার খোলা থাকার কথা থাকলেও বাজারের সকল দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা যায়। এসব বাজারে সকাল থেকেই ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়ের কারণে মাস্ক পরার হার বেশি থাকলেও সামাজিকদূরত্ব বলতে কিছুই মানা হয়নি।

লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিমদের নেতৃত্বে বেশ কয়েটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে। লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে খোলা রাখা শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকায় একটি মোটরসাইকেলের শো-রুম মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে শহরের ফৌজদারি মোড়, তমালতলাসহ বিভিন্ন স্থানে ইজিবাইক থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। চালকদের সতর্ক করা হয়েছে তারা যেন ৬ এপ্রিল থেকে ইজিবাইক না বের করে। এছাড়াও মাস্ক না পরায় শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও করা হয়েছে। এসব অভিযানে অংশ নেন নির্বাহী হাকিম মাহমুদা বেগম, নুসরাত জাহান, জান্নাতুল ফেরদৌস ও রায়হান মাহামুদ।

জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউনের প্রথমদিনে আমরা সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও ইজিবাইক চালক ও যাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করলাম। কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পাশাপাশি সবাইকে লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে চলতে বলা হয়েছে। জনগণ লকডাউন না মানলে ৬ এপ্রিল সকাল থেকে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

জামালপুরে যেভাবে চলছে লকডাউন

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
লকডাউনের কারণে জামালপুরের শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

গণপরিবহন বিশেষ করে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকলেও ৫ এপ্রিল প্রথমদিনে জামালপুর জেলার সর্বত্র অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছে। ৬ এপ্রিল থেকে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

সরজমিনে ঘুরে দেখা দেছে, লকডাউনের প্রথমদিন ৫ এপ্রিল সকাল থেকে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাস চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোসহ সারাদেশের সাথে জামালপুরের গণপরিবহন যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে জেলার সর্বত্র অন্যান্য দিনের তুলনায় স্বল্পসংখ্যক সিএনজি অটোরিকশা ও ইজিবাইকে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। সকালের দিকে শহরের বিভিন্ন স্থানে কিছু দোকান, শোরুম খোলা রাখার চেষ্টা করা হলেও জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কড়া নজরদারির কারণে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। শহরের কোথাও হোটেল রেস্তোরাঁ এমনকি রাস্তার পাশে চায়ের দোকানগুলোও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শহরের আনন্দগঞ্জ বাজার ও স্টেশন বাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলোয় শুধুমাত্র কাঁচাবাজার খোলা থাকার কথা থাকলেও বাজারের সকল দোকানপাট খোলা থাকতে দেখা যায়। এসব বাজারে সকাল থেকেই ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়ের কারণে মাস্ক পরার হার বেশি থাকলেও সামাজিকদূরত্ব বলতে কিছুই মানা হয়নি।

লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিমদের নেতৃত্বে বেশ কয়েটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে। লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে খোলা রাখা শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকায় একটি মোটরসাইকেলের শো-রুম মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে শহরের ফৌজদারি মোড়, তমালতলাসহ বিভিন্ন স্থানে ইজিবাইক থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। চালকদের সতর্ক করা হয়েছে তারা যেন ৬ এপ্রিল থেকে ইজিবাইক না বের করে। এছাড়াও মাস্ক না পরায় শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকজনকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও করা হয়েছে। এসব অভিযানে অংশ নেন নির্বাহী হাকিম মাহমুদা বেগম, নুসরাত জাহান, জান্নাতুল ফেরদৌস ও রায়হান মাহামুদ।

জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউনের প্রথমদিনে আমরা সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও ইজিবাইক চালক ও যাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করলাম। কয়েকটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পাশাপাশি সবাইকে লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে চলতে বলা হয়েছে। জনগণ লকডাউন না মানলে ৬ এপ্রিল সকাল থেকে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।