ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ একনেকে ১৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি : মির্জা ফখরুল ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি সহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দলের আবেদন কমিশনে মাদারগঞ্জে ১২৮ জনকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিলো মোজাম্মেল মমতাজ ফাউন্ডেশন জামালপুর রেলওয়ে পুলিশের অভিযানে ৫৮টি টিকিটসহ দুই টিকিট কালোবাজারি গ্রেপ্তার জামালপুরে বৈশাখী লোকনাট্য উৎসব শুরু : ধুয়া গানের আসরে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা গণঅধিকার পরিষদ বকশীগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ রোবডোজার গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের নতুন যুদ্ধ যন্ত্র ট্রাম্পের আমলে অতি ধনী ও টেক জায়ান্টদের ওপর কর আরোপ থেমে গেছে

বকশীগঞ্জের ধর্ষণ মামলার রায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার দশম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণ মামলার রায়ে আসামি তাকিউল হাসানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক। জরিমানার টাকা আদায় করে ভিকটিম ওই ছাত্রীকে দেওয়ার আদেশও দিয়েছেন বিচারক। ১৪ মার্চ দুপুরে জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ এম আলী আহমেদ মামলাটির এ রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তাকিউল হাসান ওরফে উদয় জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার উঠানোপাড়া গ্রামের ছোরহাব আলীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার প্রতিবেশী দশম শ্রেণির ছাত্রী তাকিউলের চাচাত বোন হন। তাকিউল প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক, পরে বিয়ে করে সুখের সংসার করার প্রলোভন দেখায় ওই ছাত্রীকে। তাকিউল ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়। পরিবারের স্বজনরা বিষয়টি জানতে পেরে তার গর্ভপাত ঘটান এবং তাকে বিয়ে করার জন্য তাকিউলকে চাপ দেন।

কিন্তু এরপরেও তাকিউল তাকে বিয়ে করেনি। ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে তাকিউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। বিচারক বকশীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিলে ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়।

মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালে ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর ১৪ মার্চ ট্রাইব্যুনালের বিচারক উল্লিখিত রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামি তাকিউলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি আক্রাম হোসেন এবং আসামি পক্ষ সমর্থন করেন আইনজীবী মো. মোকাম্মেল হোসেন।

আপলোডকারীর তথ্য

সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ

বকশীগঞ্জের ধর্ষণ মামলার রায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৯:০০:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মার্চ ২০২১

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার দশম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণ মামলার রায়ে আসামি তাকিউল হাসানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক। জরিমানার টাকা আদায় করে ভিকটিম ওই ছাত্রীকে দেওয়ার আদেশও দিয়েছেন বিচারক। ১৪ মার্চ দুপুরে জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ এম আলী আহমেদ মামলাটির এ রায় দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তাকিউল হাসান ওরফে উদয় জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার উঠানোপাড়া গ্রামের ছোরহাব আলীর ছেলে। ধর্ষণের শিকার প্রতিবেশী দশম শ্রেণির ছাত্রী তাকিউলের চাচাত বোন হন। তাকিউল প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক, পরে বিয়ে করে সুখের সংসার করার প্রলোভন দেখায় ওই ছাত্রীকে। তাকিউল ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়। পরিবারের স্বজনরা বিষয়টি জানতে পেরে তার গর্ভপাত ঘটান এবং তাকে বিয়ে করার জন্য তাকিউলকে চাপ দেন।

কিন্তু এরপরেও তাকিউল তাকে বিয়ে করেনি। ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে তাকিউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। বিচারক বকশীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিলে ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি বকশীগঞ্জ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়।

মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালে ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর ১৪ মার্চ ট্রাইব্যুনালের বিচারক উল্লিখিত রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামি তাকিউলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি আক্রাম হোসেন এবং আসামি পক্ষ সমর্থন করেন আইনজীবী মো. মোকাম্মেল হোসেন।