ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুরে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও বালুখেকোদের শাস্তির দাবি জানালেন ঠিকাদার সাজ্জাদ শেরপুরে সড়ক অবরোধ করে ব্লকেড কর্মসূচি পালন জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে মাদারগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীতে দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে বকশীগঞ্জে এনসিপি’র বিক্ষোভ জুলাই শহীদ দিবস : বকশীগঞ্জে শহীদ ফজলুল হকের কবর জিয়ারত এনসিপি’র জন্ম নিবন্ধনের ভূয়া সনদ বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের অন্তরায় : জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম র‍্যাবের অভিযান : প্রায় ৫ লাখ জিলেট ব্লেড জব্ধ, গ্রেপ্তার ২ শ্রীরামপুরে শহীদ সাফওয়ানের কবর জিয়ারত মাদারগঞ্জে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি, দুই যুবক গ্রেপ্তার

ইসলামপুরে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

অভিযুক্ত ইউপি সচিব উমর ফারুক।

অভিযুক্ত ইউপি সচিব উমর ফারুক।

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ভুয়া ঠিকাদার বানিয়ে ৬ লাখ ১৪ হাজার ৭৩০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮-২০১৯ ইং অর্থ বছরের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০ টাকার ২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া উপজেলা বিজিসিসি সভায়। যার মধ্যে অসহায় পরিবারের মাঝে নলকূপ স্থাপন বাবদ ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ও আহালুর বাড়ি থেকে মিজানুর রহমানের রাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট বাবদ ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩০ টাকা।

অভিযোগকারী সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমা বেগম জানান, ইউপি সচিব উমর ফারুকের কথায় আমি একটি দোকান থেকে ৪৭টি টিউবওয়েল ক্রয় করি এবং দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করি। অপরদিকে আহালুর বাড়ি থেকে মিজানুর রহমানের রাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাটসহ দুটি প্রকল্পে মোট ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩০টাকা ব্যয় করে প্রকল্প দুটির কাজটি সম্পন্ন করি। কাজ চলমান অবস্থায় আমাকে ৫০ হাজার টাকার চেক ও টিউবওয়েল বিতরণের সময় ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দেয়। বাকী টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে এলজিএসপি’র অর্থ হাফিজুর রহমানের নামে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মাহমুদপুর বাজার শাখার হিসাব নং ০০২২০০০৮৫৬ এর ব্যবহার করে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৪৬২ টাকা উত্তোলন করে ইউপি সচিব উমর ফারুকের নিকট রাখেন। বাকী ৬ লাখ ১৪ হাজার ৭৩০ টাকা চাইলে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা করে আসছে।

ইউপি সচিব উমর ফারুকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার ও বালুখেকোদের শাস্তির দাবি জানালেন ঠিকাদার সাজ্জাদ

ইসলামপুরে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
অভিযুক্ত ইউপি সচিব উমর ফারুক।

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ভুয়া ঠিকাদার বানিয়ে ৬ লাখ ১৪ হাজার ৭৩০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮-২০১৯ ইং অর্থ বছরের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩০ টাকার ২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া উপজেলা বিজিসিসি সভায়। যার মধ্যে অসহায় পরিবারের মাঝে নলকূপ স্থাপন বাবদ ৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ও আহালুর বাড়ি থেকে মিজানুর রহমানের রাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট বাবদ ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩০ টাকা।

অভিযোগকারী সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমা বেগম জানান, ইউপি সচিব উমর ফারুকের কথায় আমি একটি দোকান থেকে ৪৭টি টিউবওয়েল ক্রয় করি এবং দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করি। অপরদিকে আহালুর বাড়ি থেকে মিজানুর রহমানের রাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাটসহ দুটি প্রকল্পে মোট ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩০টাকা ব্যয় করে প্রকল্প দুটির কাজটি সম্পন্ন করি। কাজ চলমান অবস্থায় আমাকে ৫০ হাজার টাকার চেক ও টিউবওয়েল বিতরণের সময় ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দেয়। বাকী টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে এলজিএসপি’র অর্থ হাফিজুর রহমানের নামে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মাহমুদপুর বাজার শাখার হিসাব নং ০০২২০০০৮৫৬ এর ব্যবহার করে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৪৬২ টাকা উত্তোলন করে ইউপি সচিব উমর ফারুকের নিকট রাখেন। বাকী ৬ লাখ ১৪ হাজার ৭৩০ টাকা চাইলে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা করে আসছে।

ইউপি সচিব উমর ফারুকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাজহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।