ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে মরহুম রুস্তম আলী স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত বরেণ্য সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীরের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের জাঁকজমকপূর্ণ প্রত্যাবর্তন ভারতে ১২ মাওবাদীকে হত্যা প্রায় ২৫০০ জনের সাজা মওকুফ করলেন বাইডেন : যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক দিনে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের সহকারী কোচের পদ ছাড়লেন পোথাস ১৮ জানুয়ারি শুরু নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: প্রথম দিন মাঠে নামছে বাংলাদেশ সরিষাবাড়ীতে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে হত্যা, আটক ২ মাদারগঞ্জে সাব রেজিস্টার অফিসসহ কয়েকটি অফিসের ওয়েবসাইটে বহাল শেখ হাসিনার ছবি মাদারগঞ্জে যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু

পুতিনকে ফোন, নাভালনির মুক্তি দাবি বাইডেনের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে এই প্রথম জো বাইডেন ফোনে কথা বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে। জানিয়ে দিলেন বিরোধী নেতা নাভালনিকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা তিনি সমর্থন করেন না। জি সেভেনের বাকি সমস্ত দেশই নাভালনির ঘটনায় রাশিয়ার নিন্দা করেছে। বাইডেন শেষ ব্যক্তি যিনি এ কাজ করলেন। খবর ডয়চে ভেলের।

দিন কয়েক আগেই হোয়াইট হাউসের নবনিযুক্ত প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছিলেন, নাভালনির বিষয়ে বাইডেন অত্যন্ত চিন্তিত এবং তার মুক্তির জন্য সবরকম আলোচনার পথ খোলা রাখবে অ্যামেরিকা।

২৬ জানুয়ারি তিনি জানান, বাইডেনের সাথে পুতিনের প্রথম ফোন কলেই বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এর আগে জার্মানি এবং ফ্রান্সও নাভালনির গ্রেফতার নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। নাভালনিকে দ্রুত ছাড়ার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপও তৈরি করেছে জার্মানি।

১৭ জানুয়ারি জার্মানি থেকে রাশিয়ায় ফিরলে বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার হন রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি। ওই সময় সমর্থকদের উদ্দেশে বিক্ষোভের ডাক দেন তিনি।

দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নাভালনি। গত অগাস্টে তাকে বিষ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সরকার এবং প্রশাসনই এ কাজ করার চেষ্টা করেছিল। নাভালনিকে এরপর নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানি। সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে তার চিকিৎসা চলে। একসময় নাভালনি কোমাতেও চলে গেছিলেন। জার্মানিতে চিকিৎসা চলাকালীনই স্পষ্ট হয়, তাকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল।

জার্মানি ওই ঘটনায় সরাসরি পুতিনকে দায়ী করে এবং তার জবাবদিহি চায়। চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল নিজে এ বিষয়ে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন। কিছু দিন আগে মার্কেল জানিয়েছিলেন, নাভালনিকে নিঃশর্তে মুক্তি না দিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। নাভালনির পাশাপাশি একাধিক আন্দোলনকারীকেও মুক্তি দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন মার্কেল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নও নাভালনির মুক্তির দাবি করেছে। কিন্তু পুতিন এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি। রাশিয়ার বিমানবন্দর থেকে নাভালনিকে গ্রেপ্তার করার পরে থানাতেই তার বিচারসভা বসানো হয়। আপাতত ৩০ দিনের জেল হেফাজতে আছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে পরের শুনানি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ, তাতে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার। তবে নাভালনির গ্রেফতারের পর থেকে উত্তাপ ছড়িয়েছে রাশিয়ায়। প্রায় সমস্ত প্রদেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। রাশিয়ায় প্রতিদিন আন্দোলনকারীরা পুতিনবিরোধী পোস্টার নিয়ে রাস্তায় নামছেন। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীরা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

২৬ জানুয়ারি মার্কেলের মতো বাইডেনও নাভালনি এবং বিক্ষোভকারীদের মুক্তির দাবি করেছেন। নাভালনিকে না ছাড়লে অ্যামেরিকার সাথে রাশিয়ার সম্পর্কও যে তিক্ত হতে পারে ওই ইঙ্গিত প্রথম ফোন কলেই দিয়ে রেখেছেন বাইডেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে মরহুম রুস্তম আলী স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

পুতিনকে ফোন, নাভালনির মুক্তি দাবি বাইডেনের

আপডেট সময় ০৬:১২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে এই প্রথম জো বাইডেন ফোনে কথা বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে। জানিয়ে দিলেন বিরোধী নেতা নাভালনিকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা তিনি সমর্থন করেন না। জি সেভেনের বাকি সমস্ত দেশই নাভালনির ঘটনায় রাশিয়ার নিন্দা করেছে। বাইডেন শেষ ব্যক্তি যিনি এ কাজ করলেন। খবর ডয়চে ভেলের।

দিন কয়েক আগেই হোয়াইট হাউসের নবনিযুক্ত প্রেস সেক্রেটারি জানিয়েছিলেন, নাভালনির বিষয়ে বাইডেন অত্যন্ত চিন্তিত এবং তার মুক্তির জন্য সবরকম আলোচনার পথ খোলা রাখবে অ্যামেরিকা।

২৬ জানুয়ারি তিনি জানান, বাইডেনের সাথে পুতিনের প্রথম ফোন কলেই বাইডেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এর আগে জার্মানি এবং ফ্রান্সও নাভালনির গ্রেফতার নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। নাভালনিকে দ্রুত ছাড়ার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপও তৈরি করেছে জার্মানি।

১৭ জানুয়ারি জার্মানি থেকে রাশিয়ায় ফিরলে বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার হন রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনি। ওই সময় সমর্থকদের উদ্দেশে বিক্ষোভের ডাক দেন তিনি।

দীর্ঘ দিন ধরেই রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ নাভালনি। গত অগাস্টে তাকে বিষ দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সরকার এবং প্রশাসনই এ কাজ করার চেষ্টা করেছিল। নাভালনিকে এরপর নিয়ে যাওয়া হয় জার্মানি। সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে তার চিকিৎসা চলে। একসময় নাভালনি কোমাতেও চলে গেছিলেন। জার্মানিতে চিকিৎসা চলাকালীনই স্পষ্ট হয়, তাকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল।

জার্মানি ওই ঘটনায় সরাসরি পুতিনকে দায়ী করে এবং তার জবাবদিহি চায়। চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল নিজে এ বিষয়ে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন। কিছু দিন আগে মার্কেল জানিয়েছিলেন, নাভালনিকে নিঃশর্তে মুক্তি না দিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। নাভালনির পাশাপাশি একাধিক আন্দোলনকারীকেও মুক্তি দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন মার্কেল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নও নাভালনির মুক্তির দাবি করেছে। কিন্তু পুতিন এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি। রাশিয়ার বিমানবন্দর থেকে নাভালনিকে গ্রেপ্তার করার পরে থানাতেই তার বিচারসভা বসানো হয়। আপাতত ৩০ দিনের জেল হেফাজতে আছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে পরের শুনানি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ, তাতে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে তার। তবে নাভালনির গ্রেফতারের পর থেকে উত্তাপ ছড়িয়েছে রাশিয়ায়। প্রায় সমস্ত প্রদেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। রাশিয়ায় প্রতিদিন আন্দোলনকারীরা পুতিনবিরোধী পোস্টার নিয়ে রাস্তায় নামছেন। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীরা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

২৬ জানুয়ারি মার্কেলের মতো বাইডেনও নাভালনি এবং বিক্ষোভকারীদের মুক্তির দাবি করেছেন। নাভালনিকে না ছাড়লে অ্যামেরিকার সাথে রাশিয়ার সম্পর্কও যে তিক্ত হতে পারে ওই ইঙ্গিত প্রথম ফোন কলেই দিয়ে রেখেছেন বাইডেন।