ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রিপল মার্ডার, সরিষাবাড়ী : একজনের ফাঁসির আদেশ, খালাস ১২

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়ে ১৪ জন আসামির মধ্যে আসামি মো. বেলালকে ফাঁসির আদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আসামি হুরমুজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি ১২ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি দুপুরে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিন্নাত জাহান এই রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত আসামি মো. বেলাল টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলার রামাইল গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামি মো. হুরমুজ একই জেলা ও উপজেলার চরশুশুয়া গ্রামের মৃত চান মাহমুদ মন্ডলের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউপি সদস্য ও স্থানীয় চর নলসন্ধ্যা গ্রামের মো. ফজলুর রহমান ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের কয়েকজন ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর বিকেলে সরিষাবাড়ী উপজেলার যমুনার নদীর বাশুরিয়া খেয়া ঘাট থেকে নৌকাযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে তাদের নৌকাটি নলসন্ধ্যা খেয়া ঘাটে পৌঁছুলে আগে থেকেই অপেক্ষমাণ দুটি নৌকায় থাকা ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামি মো. বেলাল ও তার সশস্ত্র লোকজনরা ফজলুর রহমান, সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের জোমার খুকশিয়া গ্রামের মৃত গাদু শেখের ছেলে ইউসুফ আলী ও একই উপজেলার কাজল গ্রামের মৃত হযরত আলী তালুকদারের ছেলে কুরবান আলীকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করে। কুরবান আলী ছিলেন নৌকার মাঝি। এ ঘটনায় নিহত ফজলুর রহমানের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর আজ ২৭ জানুয়ারি আদালত উল্লিখিত রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি আবুল কাশেম তারা এবং আসামি পক্ষ সমর্থন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

আপলোডকারীর তথ্য

ট্রিপল মার্ডার, সরিষাবাড়ী : একজনের ফাঁসির আদেশ, খালাস ১২

আপডেট সময় ১০:০০:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়ে ১৪ জন আসামির মধ্যে আসামি মো. বেলালকে ফাঁসির আদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আসামি হুরমুজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি ১২ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি দুপুরে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিন্নাত জাহান এই রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত আসামি মো. বেলাল টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর উপজেলার রামাইল গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামি মো. হুরমুজ একই জেলা ও উপজেলার চরশুশুয়া গ্রামের মৃত চান মাহমুদ মন্ডলের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউপি সদস্য ও স্থানীয় চর নলসন্ধ্যা গ্রামের মো. ফজলুর রহমান ও সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের কয়েকজন ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর বিকেলে সরিষাবাড়ী উপজেলার যমুনার নদীর বাশুরিয়া খেয়া ঘাট থেকে নৌকাযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে তাদের নৌকাটি নলসন্ধ্যা খেয়া ঘাটে পৌঁছুলে আগে থেকেই অপেক্ষমাণ দুটি নৌকায় থাকা ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামি মো. বেলাল ও তার সশস্ত্র লোকজনরা ফজলুর রহমান, সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের জোমার খুকশিয়া গ্রামের মৃত গাদু শেখের ছেলে ইউসুফ আলী ও একই উপজেলার কাজল গ্রামের মৃত হযরত আলী তালুকদারের ছেলে কুরবান আলীকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করে। কুরবান আলী ছিলেন নৌকার মাঝি। এ ঘটনায় নিহত ফজলুর রহমানের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর আজ ২৭ জানুয়ারি আদালত উল্লিখিত রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি আবুল কাশেম তারা এবং আসামি পক্ষ সমর্থন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।