ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাব নির্বাচন : সভাপতি ইব্রাহীম, জাকারিয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত মাদারগঞ্জে গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম শুরু আগামী ভবিষ্যৎ হবে কমপিটিশনের ভবিষ্যত : জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম ইসলামপুরে শীতার্তদের মাঝে বিএনপির কম্বল বিতরণ মেলান্দহে হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগ মাদারগঞ্জে শীতবস্ত্র পেল তিন শতাধিক শীতার্ত মানুষ মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির মিছিল, পথসভা অনুষ্ঠিত চিকিৎসার অভাবে ক্যান্সার আক্রান্ত সাংবাদিক এম সুলতান আলম মৃত্যুপথযাত্রী বামুনপাড়া উদয়ন ক্লাবের উদ্যোগে শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন

মুনছেফ আলী ফকিরের ১০২তম জন্মদিনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মরহুম মুনছেফ আলী ফকির

মরহুম মুনছেফ আলী ফকির

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

১ জানুয়ারি মানবিক মানুষ মরহুম মুনছেফ আলী ফকিরের ১০২তম জন্মদিন। জামালপুর শহরের ইকবালপুরের অধিবাসী মুনছেফ আলী ফকিরের ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তিনি ১৯২০ সালের ১ জানুয়ারিতে মেলান্দহ উপজেলার আদিপৈত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০০৫ সালের ১৫ নভেম্বর।

মরহুম মুনছেফ আলী ফকির ছিলেন একজন প্রকৃত সমাজকর্মী। তিনি শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি অবিভক্ত ভারতের বিমানবাহিনীর চাকরিতে নিয়োগপত্র পেয়েও বাবার পত্র পেয়ে চাকরিতে যোগদান না করে কলকাতা থেকে ফিরে আসেন। তিনি মিনিস্ট্রিয়াল সমিতি জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।

মৎসজীবী সমিতি গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। মৎসজীবীদের অধিকার আদায়ে তিনি বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে গেছেন। তিনি নাগরিকদের অধিকার আদায়ে নাগরিক সমিতি নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সাথে কম্পপুর প্রাইমারি স্কুল, কম্পপুর ঈদগাহ, কম্পপুর পোস্ট অফিস, ইকবালপুর স্কুল, নয়াপাড়া মসজিদ, রানীগঞ্জ বাজারের সেড, সকাল বাজারের সেড ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে গেছেন জীবনব্যাপী। তিনি সর্বশেষ জামালপুর কালেক্টরেট কার্যালয়ে দীর্ঘ জীবন সরকারি চাকরিতে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যথেষ্ঠ প্রশংসিতও হয়েছেন। অবসর জীবনে তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।

তিনি শুধু একজন জীবপ্রকৃতির মানুষ ছিলেন না। আত্মস্বার্থের উর্ধ্বে বৈষয়িকতাকে তুচ্ছ করে ত্যাগ ও মানব সাধনার মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনের সীমা পেরিয়ে সার্বজনিন জীবন গড়ে তুলেছিলেন নিজের মধ্যে। তিনি মূলত রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- মনুষ্যত্ব ও মানব ধর্মের চর্চা এবং বিকাশের জন্য কাজ করে গেছেন। যা মানুষকে সর্বকালিন ও মানবে পরিণত করে।

তাঁর ১০২তম জন্মদিনে বিভিন্ন মহল থেকে জানানো হয়েছে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরিষাবাড়ী প্রেসক্লাব নির্বাচন : সভাপতি ইব্রাহীম, জাকারিয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

মুনছেফ আলী ফকিরের ১০২তম জন্মদিনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৯:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জানুয়ারী ২০২১
মরহুম মুনছেফ আলী ফকির

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

১ জানুয়ারি মানবিক মানুষ মরহুম মুনছেফ আলী ফকিরের ১০২তম জন্মদিন। জামালপুর শহরের ইকবালপুরের অধিবাসী মুনছেফ আলী ফকিরের ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তিনি ১৯২০ সালের ১ জানুয়ারিতে মেলান্দহ উপজেলার আদিপৈত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০০৫ সালের ১৫ নভেম্বর।

মরহুম মুনছেফ আলী ফকির ছিলেন একজন প্রকৃত সমাজকর্মী। তিনি শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি অবিভক্ত ভারতের বিমানবাহিনীর চাকরিতে নিয়োগপত্র পেয়েও বাবার পত্র পেয়ে চাকরিতে যোগদান না করে কলকাতা থেকে ফিরে আসেন। তিনি মিনিস্ট্রিয়াল সমিতি জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।

মৎসজীবী সমিতি গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। মৎসজীবীদের অধিকার আদায়ে তিনি বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে গেছেন। তিনি নাগরিকদের অধিকার আদায়ে নাগরিক সমিতি নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সাথে কম্পপুর প্রাইমারি স্কুল, কম্পপুর ঈদগাহ, কম্পপুর পোস্ট অফিস, ইকবালপুর স্কুল, নয়াপাড়া মসজিদ, রানীগঞ্জ বাজারের সেড, সকাল বাজারের সেড ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে গেছেন জীবনব্যাপী। তিনি সর্বশেষ জামালপুর কালেক্টরেট কার্যালয়ে দীর্ঘ জীবন সরকারি চাকরিতে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যথেষ্ঠ প্রশংসিতও হয়েছেন। অবসর জীবনে তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।

তিনি শুধু একজন জীবপ্রকৃতির মানুষ ছিলেন না। আত্মস্বার্থের উর্ধ্বে বৈষয়িকতাকে তুচ্ছ করে ত্যাগ ও মানব সাধনার মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনের সীমা পেরিয়ে সার্বজনিন জীবন গড়ে তুলেছিলেন নিজের মধ্যে। তিনি মূলত রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- মনুষ্যত্ব ও মানব ধর্মের চর্চা এবং বিকাশের জন্য কাজ করে গেছেন। যা মানুষকে সর্বকালিন ও মানবে পরিণত করে।

তাঁর ১০২তম জন্মদিনে বিভিন্ন মহল থেকে জানানো হয়েছে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।