ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামালপুর জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মাহমুদপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে লাইনম্যানের মৃত্যু ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা : বকশীগঞ্জে এনসিপি’র বিক্ষোভ মিছিল ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা : প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা : জামালপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল মাদারগঞ্জে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিল ব্যবসায়ীর মরদেহ মাদারগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন ক্রীড়াবিদ আউয়ালের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত র‍্যাবের অভিযান : নালিতাবাড়ীতে ২৬০ বোতল ভারতীয় মদ জব্ধ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ৯-১ গোলে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে

যমুনার বাঁধে আশ্রিতরা চায় স্থায়ী বসতভিটা

নদী ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত তিন শতাধিক পরিবার স্থায়ী বসতভিটা চায়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নদী ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত তিন শতাধিক পরিবার স্থায়ী বসতভিটা চায়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনার নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি হারিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিতরা স্থায়ী বসতভিটা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন আশ্রিত তিন শতাধিক পরিবার। বাঁধে নলকূপ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সংকট নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা এসব ভূমিহীন পরিবার সরকারের নিকট স্থায়ী বসতভিটার দাবি জানান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গেল বন্যায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের বেড়কুশা ও হরিনধরা গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। ভিটে মাটি হারিয়ে এসব পরিবার আশ্রয় নিয়েছে পাথর্শীর মোরাদাবাদ থেকে কুলকান্দি পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। নলকূপ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়তই পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। কারও আবার বসবাস করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। নিজের ভিটে মাটি হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। একটু আশ্রয়ের জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে এসব ভূমিহীন পরিবার।

আশ্রিত রামেছা বেগম বলেন, নদী ভাঙগি বাড়ি ঘর সব শেষ, এখন যাওয়ার জায়গা নাই, সরকার যদিল আমগরে এল্লা ঘর জমি দেয় তাইলে শান্তি পামু। জহুরা বেগম বলেন, নদীর উফরে থাহি, ঘরডাও ভাঙ্গা, হিয়েল বাতাসে থাকপের পাইনে। তাদের মত একাধিক নারী-পুরুষ তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থার দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বাবু জানান, হরিণধরা, বেড়কুশা গ্রাম ভেঙ্গে ভূমিহীন এসব পরিবারের স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাসের জানান, নদীভাঙ্গা, ভ‚মিহীন এসব আশ্রিত পরিবারের জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের নির্দেশে তাদের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের দাফন-কাফন ও গোরস্থানের জন্য প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে ৬৫ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছি। যমুনার করাল গ্রাসে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া এসব পরিবার দ্রুতই মাথা গুঁজার ঠাঁই ফিরে পাবে বলে তিনি জানান।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

যমুনার বাঁধে আশ্রিতরা চায় স্থায়ী বসতভিটা

আপডেট সময় ০৫:০১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
নদী ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত তিন শতাধিক পরিবার স্থায়ী বসতভিটা চায়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনার নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি হারিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিতরা স্থায়ী বসতভিটা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন আশ্রিত তিন শতাধিক পরিবার। বাঁধে নলকূপ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সংকট নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা এসব ভূমিহীন পরিবার সরকারের নিকট স্থায়ী বসতভিটার দাবি জানান।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গেল বন্যায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের বেড়কুশা ও হরিনধরা গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। ভিটে মাটি হারিয়ে এসব পরিবার আশ্রয় নিয়েছে পাথর্শীর মোরাদাবাদ থেকে কুলকান্দি পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। নলকূপ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়তই পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। কারও আবার বসবাস করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। নিজের ভিটে মাটি হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। একটু আশ্রয়ের জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে এসব ভূমিহীন পরিবার।

আশ্রিত রামেছা বেগম বলেন, নদী ভাঙগি বাড়ি ঘর সব শেষ, এখন যাওয়ার জায়গা নাই, সরকার যদিল আমগরে এল্লা ঘর জমি দেয় তাইলে শান্তি পামু। জহুরা বেগম বলেন, নদীর উফরে থাহি, ঘরডাও ভাঙ্গা, হিয়েল বাতাসে থাকপের পাইনে। তাদের মত একাধিক নারী-পুরুষ তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থার দাবি জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বাবু জানান, হরিণধরা, বেড়কুশা গ্রাম ভেঙ্গে ভূমিহীন এসব পরিবারের স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাসের জানান, নদীভাঙ্গা, ভ‚মিহীন এসব আশ্রিত পরিবারের জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের নির্দেশে তাদের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের দাফন-কাফন ও গোরস্থানের জন্য প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে ৬৫ হাজার টাকার চেক তুলে দিয়েছি। যমুনার করাল গ্রাসে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া এসব পরিবার দ্রুতই মাথা গুঁজার ঠাঁই ফিরে পাবে বলে তিনি জানান।