নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুর ও শেরপুরে পৃথক অভিযান চালিয়ে দুটি তক্ষক, একটি প্রাইভেট কার, ছয়টি মোবাইল ফোন সেট ও নগদ ৩৫০ টাকা উদ্ধার এবং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে র্যাব জামালপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল এ অভিযান পরিচালনা করে ।

র্যাব সূত্র জানায়, র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার এম. এম. সবুজ রানার নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ২৫ ডিসেম্বর বিকাল চারটার দিকে জামালপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলার নামাপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ওই এলাকায় একটি তক্ষকসহ মো. শহীদ মিয়াকে (৫০) তার বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে।
তক্ষকটির দৈঘ্য আনুমানিক ৮ ইঞ্চি এবং যার কথিত মূল্য ৩০ লাখ টাকা। তার কাছ থেকে একটি মোবাইলও উদ্ধার করা হয়।
মো. শহীদ মিয়ার বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে র্যাবের একটি আভিযানিক দল ২৫ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার দক্ষিন নওহাটা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ওই এলাকায় মেসার্স মর্ডান রাইচ মিলের সামনে রাস্তা থেকে একটি তক্ষকসহ চারজনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন- চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার জয়সারা গ্রামের মৃত এছকান্দার মুন্সির ছেলে মো. আব্দুল মতিন মুন্সি (৬০), বগুড়ার দুপ চাঁচিয়া উপজেলার বেড়াগ্রামের মো. আলতাফ ফকিকের ছেলে মো. জুবায়দুর ইসলাম (৩৫), শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরঙ্গা গ্রামের হাজী মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. শামীম মিয়া (৪০) ও বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. খালেক ফকিরের ছেলে মো. রানা (৩০)।

তক্ষকটির দৈঘ্য আনুমানিক ১৪ ইঞ্চি ও যার কথিত মূল্য ৩০ লাখ টাকা। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেট কার, ৫টি মোবাইল সেট ও নগদ ৩৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।