ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী ১৪ ডিসেম্বর ভোর ৭টা ১০ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা জানান।

শীতের আগমনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সীমিত পর্যায়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পনের মাধ্যমে বাঙালির চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার দুইদিন আগে পরাজয় নিশ্চিত জেনে দেশীয় আল-বদর, রাজাকার, আল-শামসদের সহযোগিতায় এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তালিকা করে তাঁদের হত্যার মাধ্যমে এ জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য প্রয়াস চালানো হয়।

দীর্ঘ ৪৯ বছর আগে এই দিনে অধ্যাপক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানীসহ দেশের বরেণ্য শত শত বুদ্ধিজীবীর তালিকা করে সে অনুযায়ী তাদের বাসা থেকে চোখ বেঁধে এবং দু’হাত পিছমোড়া করে বেঁধে বধ্য ভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। টর্চার সেলে নির্মম নির্যাতনে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন। মিরপুর, রায়েরবাজার, রাজারবাগ, মোহাম্মদপুর এবং নাখালপাড়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন বধ্য ভূমিতে তাঁদের হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়।

সেদিনের নিহতদের মধ্যে রয়েছেন-শিক্ষক, বাগ্মী, নট্যকার ও চিন্তাবিদ মুনীর চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বি, লেখক-সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান, সেলিনা পারভীনসহ আরো অসংখ্য জন। সেদিনের সেই বর্বরতা স্মরণ করে সমগ্র জাতি দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন

আপডেট সময় ০৩:৪৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির সূর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকীব আহমেদ চৌধুরী ১৪ ডিসেম্বর ভোর ৭টা ১০ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা জানান।

শীতের আগমনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সীমিত পর্যায়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পনের মাধ্যমে বাঙালির চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার দুইদিন আগে পরাজয় নিশ্চিত জেনে দেশীয় আল-বদর, রাজাকার, আল-শামসদের সহযোগিতায় এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তালিকা করে তাঁদের হত্যার মাধ্যমে এ জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য প্রয়াস চালানো হয়।

দীর্ঘ ৪৯ বছর আগে এই দিনে অধ্যাপক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানীসহ দেশের বরেণ্য শত শত বুদ্ধিজীবীর তালিকা করে সে অনুযায়ী তাদের বাসা থেকে চোখ বেঁধে এবং দু’হাত পিছমোড়া করে বেঁধে বধ্য ভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। টর্চার সেলে নির্মম নির্যাতনে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন। মিরপুর, রায়েরবাজার, রাজারবাগ, মোহাম্মদপুর এবং নাখালপাড়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন বধ্য ভূমিতে তাঁদের হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে রাখা হয়।

সেদিনের নিহতদের মধ্যে রয়েছেন-শিক্ষক, বাগ্মী, নট্যকার ও চিন্তাবিদ মুনীর চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বি, লেখক-সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, নিজামুদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান, সেলিনা পারভীনসহ আরো অসংখ্য জন। সেদিনের সেই বর্বরতা স্মরণ করে সমগ্র জাতি দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।