জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ২৮ নভেম্বর জামালপুরের মেলান্দহে বশেফমুবিপ্রবি ক্যাম্পাসে এই দিবস উদযাপন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৪ নম্বর আইনের মাধ্যমে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তবে কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সীমিত আকারে ক্যাম্পাসে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ উপলক্ষে ২৭ নভেম্বর রাতে ফানুস উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সূচনা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। ২৮ নভেম্বর সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার পর বশেফমুবিপ্রবির সিন্ডিকেট সদস্য ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অতিথিবৃন্দ।
দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল হোসেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় মানে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া। আমরা সীমিত সম্পদের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সীমিত আকারে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারছি না। এই দুঃসহ অবস্থা কেটে যাবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা আনন্দঘন ও বর্ণাঢ্যভাবে সকল উৎসব উদযাপন করবো।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে উপাচার্য আরো বলেন, শুরু থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সম্প্রসারণ ও শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করছি। এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চায় নয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অব্যাহত সহযোগিতার আহ্বান জানাই। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আপন মহিমায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে একদিন ছড়িয়ে পড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
বশেফমুবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মহিউদ্দিন মোল্লা, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।