ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা মাদারগঞ্জে ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে উত্তর চরবওলা স্পোর্টিং ক্লাব এ দল চ্যাম্পিয়ন দেওয়ানগঞ্জে ইসলামী সংস্কৃতি জোটের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাধায় পণ্ড হওয়া ফুটবল খেলা সাত বছর অনুষ্ঠিত সরিষাবাড়ীর শাহানাজ আক্তার এখন তুহিন মিয়া ভারতের আহমেদাবাদে ২৪২ আরোহী নিয়ে লন্ডনগামী বিমান বিধ্বস্ত কেন্দুয়া স্পোর্টস একাডেমি চ্যাম্পিয়ন আলাইনদী থেকে আফসানা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশ সুরক্ষায় মাদারগঞ্জে দুই শতাধিক বৃক্ষরোপণ ৭৫ দিন নিখোঁজ থাকা নুহাশকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী

গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে তাঁর সরকারের কর্মসূচি সবার জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি ১৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মো.শহীদুজ্জামান সরকারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন। এ সময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা বলেন, ‘আমি সমাজের অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অনুরোধ করবো তাঁরা যদি অন্তত একটি করে বাড়ি অসহায় পরিবারের জন্য নির্মাণ করে দেন তবে, মুজিব শতবর্ষে দেশে যেমন একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবেনা, তেমনি সবাই মিলে আমরা নির্মাণ করবো এক মানবিক সোনার বাংলা।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হওয়া সত্বেও এদেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাসস্থান নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র বিমোচনে এ ধরনের কর্মসূচি বিশ্বের আর কোন সরকার প্রধান এ পর্যন্ত গ্রহণ করেননি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৯ হাজার ১৪২টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এরমধ্যে ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে এক লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৩টি পরিবারকে, জমি আছে ঘর নেই এরূপ এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৭৯টি পরিবারকে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়দের ৬০০ পরিবারকে বিশেষ ডিজাইনের গৃহনির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় উঁচু খাস জমির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে পরিবার প্রতি ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্তো প্রদান পূর্বক প্রথম পর্যায়ে ৫৯ হাজার ৮০৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবারের জন্য এক হাজার ২২ কোটি ৬৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে একক গৃহ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে গৃহহীনদের পুনর্বাসনে জাতির পিতার গৃহীত প্রথম পদক্ষেপ স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ২০ ফ্রেব্রুয়ারি তৎকালিন নোয়াখালির বর্তমান লক্ষীপুরের রামগঞ্জে চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে অসহায় আশ্রয়হীন পরিবারগুলোর পুনর্বাসন শুরু করেন।

তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা এবং তা বাস্তবায়নে সরকার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারী অভিঘাত সত্ত্বেও তাঁর সরকার প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার নীতি গ্রহণ করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে চতুর্থ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। ফলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছে। এ ছাড়া সবজি উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু উৎপাদনে অষ্টম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে অবস্থান করে বাংলাদেশে আজ বিশ্বে কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল।সূত্র:বাসস।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

আপডেট সময় ১০:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে তাঁর সরকারের কর্মসূচি সবার জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি ১৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মো.শহীদুজ্জামান সরকারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন। এ সময় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা বলেন, ‘আমি সমাজের অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিদের অনুরোধ করবো তাঁরা যদি অন্তত একটি করে বাড়ি অসহায় পরিবারের জন্য নির্মাণ করে দেন তবে, মুজিব শতবর্ষে দেশে যেমন একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবেনা, তেমনি সবাই মিলে আমরা নির্মাণ করবো এক মানবিক সোনার বাংলা।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হওয়া সত্বেও এদেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাসস্থান নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র বিমোচনে এ ধরনের কর্মসূচি বিশ্বের আর কোন সরকার প্রধান এ পর্যন্ত গ্রহণ করেননি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৯ হাজার ১৪২টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এরমধ্যে ব্যারাক নির্মাণের মাধ্যমে এক লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৩টি পরিবারকে, জমি আছে ঘর নেই এরূপ এক লাখ ৫৩ হাজার ৭৭৯টি পরিবারকে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়দের ৬০০ পরিবারকে বিশেষ ডিজাইনের গৃহনির্মাণ করে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় উঁচু খাস জমির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে পরিবার প্রতি ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্তো প্রদান পূর্বক প্রথম পর্যায়ে ৫৯ হাজার ৮০৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবারের জন্য এক হাজার ২২ কোটি ৬৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে একক গৃহ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে গৃহহীনদের পুনর্বাসনে জাতির পিতার গৃহীত প্রথম পদক্ষেপ স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ২০ ফ্রেব্রুয়ারি তৎকালিন নোয়াখালির বর্তমান লক্ষীপুরের রামগঞ্জে চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে অসহায় আশ্রয়হীন পরিবারগুলোর পুনর্বাসন শুরু করেন।

তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা এবং তা বাস্তবায়নে সরকার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ মহামারী অভিঘাত সত্ত্বেও তাঁর সরকার প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার নীতি গ্রহণ করে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে চতুর্থ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। ফলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছে। এ ছাড়া সবজি উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু উৎপাদনে অষ্টম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে অবস্থান করে বাংলাদেশে আজ বিশ্বে কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল।সূত্র:বাসস।