ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ হলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের রিক্রুইটমেন্ট সেন্টার : মির্জা আজম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের রিক্রুইটমেন্ট সেন্টার। ছাত্রলীগ আর বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। কিন্তু যদি কোন মাদকাসক্ত, চাঁদাবাজ বা কোন রাজাকারের সন্তান ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্বে চলে আসে, তাহলে তাদের দ্বারা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন উন্নয়ন কর্মসূচিই বাস্তবায়ন হবে না।

১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় স্থানীয় উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস আওয়ামী লীগের চাইতেও একটু বেশি। ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে লড়াই, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সকল আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও ইতিহাস রয়েছে। ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন যৌবনের চৌদ্দটি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে জিয়া-মোস্তাকরা চক্রান্ত করে তাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

মির্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের কাজ করছেন তিনি। আজকে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৫০০ ডলার থেকে দুই হাজার ১০০ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। অত্যন্ত সফলভাবে তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে যারা আসবেন তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে হবে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মসূচি সফল করতে শপথ নেওয়ার জন্য ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে সম্মেলন বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিহাদুল আলম নিহাদ।

মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খালিদ আল হোসাইন আরজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন বাবুল ও প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন, সাবেক মেয়র হাজি দিদার পাশা, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আলী জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বিন জালাল প্লাবন প্রমুখ।

সন্ধ্যার পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন চলাকালে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলান্দহ উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ হলো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের রিক্রুইটমেন্ট সেন্টার : মির্জা আজম

আপডেট সময় ০৯:৫১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের রিক্রুইটমেন্ট সেন্টার। ছাত্রলীগ আর বাংলাদেশ একসূত্রে গাঁথা। কিন্তু যদি কোন মাদকাসক্ত, চাঁদাবাজ বা কোন রাজাকারের সন্তান ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনে নেতৃত্বে চলে আসে, তাহলে তাদের দ্বারা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন উন্নয়ন কর্মসূচিই বাস্তবায়ন হবে না।

১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় স্থানীয় উমির উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস আওয়ামী লীগের চাইতেও একটু বেশি। ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে লড়াই, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সকল আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও ইতিহাস রয়েছে। ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবন যৌবনের চৌদ্দটি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে জিয়া-মোস্তাকরা চক্রান্ত করে তাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

মির্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের কাজ করছেন তিনি। আজকে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৫০০ ডলার থেকে দুই হাজার ১০০ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। অত্যন্ত সফলভাবে তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে যারা আসবেন তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে হবে। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মসূচি সফল করতে শপথ নেওয়ার জন্য ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে সম্মেলন বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিহাদুল আলম নিহাদ।

মেলান্দহ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খালিদ আল হোসাইন আরজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন বাবুল ও প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন, সাবেক মেয়র হাজি দিদার পাশা, মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আলী জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বিন জালাল প্লাবন প্রমুখ।

সন্ধ্যার পর সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন চলাকালে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলান্দহ উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল।