বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল-সানন্দবাড়ী সড়কে ১৪ বছর আগে নির্মিত গয়ারডোবা ফুটওভার ব্রিজটি এখন মৃত্যুঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। ব্রিজটির স্থানে প্রশস্ত করে নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৭ টাকা ব্যয়ে ২০০৬ সালে কাঠারবিল-সানন্দবাড়ী সড়কের গয়ারডোবা খালের ওপর ১৪৪ মিটার ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিলো মেসার্স কাদের এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণের সময় ব্রিজের দু’পাশে সরু কাঁচা রাস্তা ছিল। তখন যানবাহন চলাচলের বিষয়টি বিবেচনায় না রেখেই স্থানীয় পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
২০১৭ সালে কাঠারবিল থেকে ওই ব্রিজ হয়ে সানন্দবাড়ী পর্যন্ত পাকা সড়ক হওয়ায় ফুটওভার ব্রিজটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করে। ফলে উত্তরাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন কাজে উপজেলা ও জেলা শহরে যাতায়াতসহ কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে। দুর্ভোগের হাত থেকে বেঁচে গেছে এ অঞ্চলের স্কুল-কলেজের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষেরা। ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচলের কারণে ব্রিজ পার হওয়ার সময় প্রশস্ততা কম থাকায় দু’টো অটোরিকশা পাশকাটিয়ে যেতে পারে না।
স্থানীয়রা জানান, এই ব্রিজে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় প্রায় বিগত আট বছর আগে থেকেই ব্রিজের রেলিং ভাঙতে শুরু করেছে। এরপর বছর তিনেক আগে ভাঙতে শুরু করে ব্রিজটির পাটাতন। এ অবস্থায় এই ব্রিজটি বর্তমানে মৃত্যুঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মতি রহমান জানান, ডাংধরা-সানন্দবাড়ী এলাকার হাজারো মানুষের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা হওয়ায় এই ফুটওভার ব্রিজটি সংস্কার করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আকন্দ জানান, নির্মাণের সময় দু’পাশে প্রশস্ত পাকা সড়ক ছিলো না। খালের পশ্চিম ও পূর্বপাড়ের মধ্যে পথচারী চলাচলের জন্যে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পাকা সড়ক হওয়ায় এখন পথচারী ছাড়াও প্রতিদিন শতশত যানবাহন চলাচল করছে ব্রিজটির ওপর দিয়ে। ব্রিজটির রেলিংসহ বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন ও পথচারী চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এখানে নতুন করে বড় আকারে ব্রিজ নির্মাণ করা ছাড়া সমস্যা দূর হবে না।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, গয়ারডোবা ফুটওভার ব্রিজটির বিষয়ে আমি জানি। ওই ব্রিজটির ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর অধিদপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।