প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১২ নভেম্বর

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২৭ অক্টোবর মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এরআগে ১৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এদিন ধার্য করেন। বাদিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন।

অপরদিকে মতিউর রহমান, আনিসুল হকসহ আটজনকে মামলা হতে অব্যাহতি দানের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার।

আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জানান, উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয়ে আদেশের জন্য এদিন ধার্য করেন।

গত ১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বদলির আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ১ নভেম্বর মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আবরার। মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল প্রথম আলোর কিশোর সাময়িকী কিশোর আলো। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান কিশোর আলোরও প্রকাশক আর কিশোর আলোর সম্পাদক হলেন আনিসুল হক।

এ ঘটনায় গত বছরের ৬ নভেম্বর আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান প্রথম আলো সম্পাদকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।

গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- প্রথম আলোর সহযোগি সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক, জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহপরান তুষার ও শুভাশীষ প্রামাণিক, অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসীম উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হাওলাদার।