বিশ্ব খাদ্য দিবস ১৬ অক্টোবর

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, “সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ”।

কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও পালিত হবে দিবসটি। এ উপলক্ষে আর্ন্তজাতিক সেমিনার , কারিগরি সেশন, জসসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রমসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কৃষি মন্ত্রনালয়।

দিকসটি উপলক্ষে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাওঁ হোটেল ঢাকায় একটি আর্ন্তজাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা। জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও ) মহাপরিচালক কো দোংইয়ু অনলাইনে বক্তব্য রাখবেন।

জানা গেছে, খাদ্যে শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগ ঝুঁকি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। আশংকার কথা হলো ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বলে জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

সম্প্রতি এক গবেষণায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট ঢাকার পিএইচও নমুনার ৯২ শতাংশে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত ২% মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি এসিড) পেয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্স ফ্যাট এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও’র সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি।

ট্রান্সফ্যাটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো আইন বা নীতি হয়নি। তবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)অতিসম্প্রতি সকল ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৪.৪১ শতাংশের জন্য দায়ি ট্রান্সফ্যাট। খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের সীমা নির্ধারণ করার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব। তাই আমাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করতে হবে।”

ট্রান্সফ্যাটমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ অনুযায়ী সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন এবং কার্যকর করার দাবি জানায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।সূত্র:বাসস।

sarkar furniture Ad
Green House Ad