বকশীগঞ্জে সাড়ে ৩ বছরের কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২

ধর্ষণের চেষ্টাকারী রুহুল আমীন ও ঘটনা ধামাচাপা দিতে সহায়তাকারী সরোয়ার হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের এক কন্যাশিশু পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে রুহুল আমীন (২০) এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে সহায়তাকারী মো. সরোয়ার হোসেন (৩০) নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৩ অক্টোবর সকালে উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের চেষ্টার কারণে অসুস্থ শিশুটিকে বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর ছেলে রুহুল আমীন ১৩ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশী এক দরিদ্র পরিবারের ঘরে ঢুকে তাদের সাড়ে তিন বছরের কন্যাশিশুকে একা পেয়ে পরনের হাপপ্যান্ট খুলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটি ব্যথা ও ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে রুহুল আমিন দ্রুত ওই ঘর থেকে কেটে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রতিবেশী মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মো. সরোয়ার হোসেন এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে আপস মীমাংসার অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা এতে রাজি না হলে ধর্ষণের চেষ্টাকারী রুহুল আমিন গা ঢাকা দেয়।

শিশুটির বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বকশীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু শরিফের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই ডাকপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে রুহুল আমীন ও সরোয়ার হোসেনকে আটক করতে সক্ষম হন। পরে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)ঘ ধারায় শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলায় ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ১৪ অক্টোবর সকালে দুই আসামিকে আদালতে পাঠাবে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম সম্রাট এ প্রতিবেদককে বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রুহুল আমীন শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে। তাকে এবং ঘটনার ধামাচাপা দিতে সহায়তাকারী গ্রেপ্তার সরোয়ারকে ১৪ অক্টোবর জামালপুর আদালতে হাজির করা হবে। শিশুটিকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানকার ডাক্তাররা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে।

sarkar furniture Ad
Green House Ad