ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

দেওয়ানগঞ্জে দুই যুগ ধরে ১০ হাজার মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চকপাড়া খালের উপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চকপাড়া খালের উপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চকপাড়া খালের উপর সেতু না থাকায় দুই যুগ ধরে গ্রামবাসী স্বেচ্ছায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করছে চার গ্রামের মানুষ। দীর্ঘদিনেও নির্মাণ হয়নি খালের উপর সেতু। সেতু না থাকায় শিক্ষার্থী, শিশু ও বয়ঃবৃদ্ধসহ ১০ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে চকপাড়া, নয়াপাড়া, মন্ডলপাড়া, দক্ষিণ ভাতখাওয়া ৪ গ্রামের মানুষ। বর্ষার মৌসুম শুরু হলেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে চার গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

১০ অক্টোবর সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চকপাড়া, নয়াগ্রাম, মন্ডলপাড়া, দক্ষিণ ভাতখাওয়া গ্রামবাসী যাতায়াতের দুর্ভোগ। ৪টা গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বাঁশের সাঁকো। পশ্চিম পাশের কাঠারবিল ডিগ্রি কলেজ ও কাঠারবিল এ বি উচ্চ বিদ্যালয়, আকন্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাঁকোর পূর্বপাশে নয়াগ্রাম, মন্ডলপাড়া, দক্ষিণ ভাতখাওয়া।

সাবেক ইউপি সদস্য শামছুল হক জানান, ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পানির স্রোতে চকপাড়া খালে পরিণত হলে ১৯৮৯ সালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৮ সালে বন্যা পানির স্রোতে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এরপর থেকে এ খালের উপর গ্রাম বাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করে আসছে।

নয়াগ্রামের সহিদ মিয়া জানান, এ খালের উপর সরকারিভাবে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা নিজেরাই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছি। বর্ষা মৌসুমে আমাদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বন্যায় কলা গাছের ভেলা দিয়ে পাড়াপাড় হতে হয়।

চকপাড়া গ্রামের নুরুল হক জানান, আমাদের এ চকপাড়া খালে সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে ধান, চাল বাজারে নেওয়া মুসকিল হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান নুর সালাম জানান, নয়াগ্রাম চকপাড়া খালের উপর সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরী। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই সড়কে জনসাধারণ চলাচলে চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত না। আমার দপ্তরে হাতীভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য বিষয় নিয়ে আসেনি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন জানান, চকপাড়া খালের উপর সেতু নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন বেগম খালেদা জিয়া

দেওয়ানগঞ্জে দুই যুগ ধরে ১০ হাজার মানুষের ভরসা বাঁশের সাঁকো

আপডেট সময় ০৮:০৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চকপাড়া খালের উপর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকো। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নের চকপাড়া খালের উপর সেতু না থাকায় দুই যুগ ধরে গ্রামবাসী স্বেচ্ছায় বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করছে চার গ্রামের মানুষ। দীর্ঘদিনেও নির্মাণ হয়নি খালের উপর সেতু। সেতু না থাকায় শিক্ষার্থী, শিশু ও বয়ঃবৃদ্ধসহ ১০ হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে চকপাড়া, নয়াপাড়া, মন্ডলপাড়া, দক্ষিণ ভাতখাওয়া ৪ গ্রামের মানুষ। বর্ষার মৌসুম শুরু হলেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে চার গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

১০ অক্টোবর সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চকপাড়া, নয়াগ্রাম, মন্ডলপাড়া, দক্ষিণ ভাতখাওয়া গ্রামবাসী যাতায়াতের দুর্ভোগ। ৪টা গ্রামের ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বাঁশের সাঁকো। পশ্চিম পাশের কাঠারবিল ডিগ্রি কলেজ ও কাঠারবিল এ বি উচ্চ বিদ্যালয়, আকন্দপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাঁকোর পূর্বপাশে নয়াগ্রাম, মন্ডলপাড়া, দক্ষিণ ভাতখাওয়া।

সাবেক ইউপি সদস্য শামছুল হক জানান, ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পানির স্রোতে চকপাড়া খালে পরিণত হলে ১৯৮৯ সালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৮ সালে বন্যা পানির স্রোতে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এরপর থেকে এ খালের উপর গ্রাম বাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াত করে আসছে।

নয়াগ্রামের সহিদ মিয়া জানান, এ খালের উপর সরকারিভাবে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা নিজেরাই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছি। বর্ষা মৌসুমে আমাদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বন্যায় কলা গাছের ভেলা দিয়ে পাড়াপাড় হতে হয়।

চকপাড়া গ্রামের নুরুল হক জানান, আমাদের এ চকপাড়া খালে সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে ধান, চাল বাজারে নেওয়া মুসকিল হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান নুর সালাম জানান, নয়াগ্রাম চকপাড়া খালের উপর সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরী। দীর্ঘদিন যাবৎ ওই সড়কে জনসাধারণ চলাচলে চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত না। আমার দপ্তরে হাতীভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য বিষয় নিয়ে আসেনি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন জানান, চকপাড়া খালের উপর সেতু নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।