জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বন্যার পানিতে ডুবে যাচ্ছে সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের যমুনা নদীর কুলপাল চরের কৃষকদের আমন ধান ক্ষেত। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জামালপুর জেলায় যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সকল নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে যমুনা ব্যতীত অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে জামালপুরে চতুর্থদফা বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি ১ অক্টোবর বিকেল থেকে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় যমুনার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে যমুনা নদীতীরবর্তী দেওয়ানগঞ্জের তিনটি ইউনিয়ন, মেলান্দহের চারটি, ইসলামপুরের পাঁচটি, মাদারগঞ্জের চারটি এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এসব ইউনিয়নে তৃতীয়দফা বন্যার পর আবাদ করা রোপা আমন ধান ক্ষেতের অধিকাংশই বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। পানি বাড়তে থাকায় আমন ধান নিয়ে কৃষকদের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ এ প্রতিবেদককে বলেন, মূলত প্রবল বৃষ্টিপাত ও ওজান থেকে বন্যার পানি নেমে আসার কারণে যমুনা নদীর পানি বেড়েছে। তবে কম মাত্রায় বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে ৪ অক্টোবর বিকেল থেকে পানি কমতে শুরু করতে পারে।