ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেওয়ানগঞ্জে চতুর্থ দফা বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি

চতুর্থ দফা বন্যায় আমন ধান তলিয়ে গেছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

চতুর্থ দফা বন্যায় আমন ধান তলিয়ে গেছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বোরহানউদ্দিন, সানন্দবাড়ী প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের চতুর্থ দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতিপূর্বে দফায় দফায় বন্যায় উপজেলার সর্বত্রই ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার পর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কৃষকরা বাইরে থেকে চারা কিনে এবং বীজতলা তৈরি করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বন্যার পর অধিক জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করে আশার আলো দেখতে থাকে।

কিন্তু চতুর্থ দফা বন্যায় সে আশা ভেসে যায়। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই শত শত রোপা আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়।

দফায় দফায় বন্যার পরও কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছিলেন। কৃষক আশায় বুক বেঁধে জমিতে রোপা আমন ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শত শত একর জমি রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহমান নান্নু সাংবাদিকদের জানান, যে অনুপাতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে পানির স্থায়িত্ব যদি বেশি দিন থাকে তাহলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পরবর্তী রবি মৌসুমের ফসলগুলো সঠিকভাবে কৃষকদের চাষ করতে হবে। বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে করে কৃষি পুনর্বাসন পায় সে জন্য সরকারের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দেওয়ানগঞ্জে চতুর্থ দফা বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি

আপডেট সময় ০৫:২৭:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
চতুর্থ দফা বন্যায় আমন ধান তলিয়ে গেছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বোরহানউদ্দিন, সানন্দবাড়ী প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের চতুর্থ দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতিপূর্বে দফায় দফায় বন্যায় উপজেলার সর্বত্রই ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার পর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কৃষকরা বাইরে থেকে চারা কিনে এবং বীজতলা তৈরি করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বন্যার পর অধিক জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করে আশার আলো দেখতে থাকে।

কিন্তু চতুর্থ দফা বন্যায় সে আশা ভেসে যায়। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই শত শত রোপা আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়।

দফায় দফায় বন্যার পরও কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছিলেন। কৃষক আশায় বুক বেঁধে জমিতে রোপা আমন ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শত শত একর জমি রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহমান নান্নু সাংবাদিকদের জানান, যে অনুপাতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে পানির স্থায়িত্ব যদি বেশি দিন থাকে তাহলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পরবর্তী রবি মৌসুমের ফসলগুলো সঠিকভাবে কৃষকদের চাষ করতে হবে। বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে করে কৃষি পুনর্বাসন পায় সে জন্য সরকারের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি।