মেষ্টার মমিন হত্যা : প্রধান আসামির ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ, যাবজ্জীবন ৫

জেলা ও দায়রা জজ আদালত, জামালপুর। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের কুমারগাতি গ্রামের চাঞ্চল্যকর মমিন হত্যা মামলার রায়ে প্রধান আসামি আনছার আলী প্রামাণিককে (৫৩) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালতের বিচারক। মামলার বাকি পাঁচজন আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত। ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন মামলাটির এ রায় দেন।

মামলাটির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া পাঁচজন আসামি হলেন- কলম প্রামাণিক (৫৮), তার ছেলে শাহীন (৩৬), সাইদুল (৩২), স্ত্রী শাইবানু (৫৩) ও আনছার আলী প্রামাণিকে স্ত্রী শাবজান (৪৬)। মামলার রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে হাজির ছিলেন না। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের কুমারগাতি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রইচ ও তার ভাইদের সাথে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরে ২০০৭ সালের ১৬ জুন সকালে আব্দুর রইচের ছেলে মমিনের সাথে তার চাচা আনছার আলী প্রামাণিকের ঝগড়া বাঁধে। তখন আনছার আলী প্রামাণিক ও তার লোকজনরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মমিনকে গুরুতর আহত করে। ঘটনার দু’দিন পর ১৮ জুন জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মমিন।

এ ঘটনায় নিহত মমিনের বাবা আব্দুর রইচ বাদী হয়ে আনছার আলী প্রামাণিক, তার স্ত্রী শাবজান, কমল প্রামাণিক ও তার ছেলে শাহীন, সাইদুল ও স্ত্রী শাইবানুকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয় ২০০৮ সালের ৪ মার্চ। দীর্ঘ ১৩ বছর পর ৯ সেপ্টম্বর মামলাটির রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা আদালতে হাজির হননি। প্রধান আসামি আনছার আলী প্রামাণিকের মৃত্যুর পরোয়ানাসহ তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ জারি করেছেন আদালতের বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র এবং আসামি পক্ষ সমর্থন করেন আইনজীবী মো. আনোয়ারুল করিম শাহজাহান।

sarkar furniture Ad
Green House Ad