দুরমুঠে মসজিদের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংকে মিলল নিখোঁজ স্কুলছাত্রের কঙ্কাল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

নিখোঁজের ২১দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর রাতে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের সরুলিয়া গ্রামের মসজিদের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংক থেকে আমান উল্লাহ (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ।

নিহত স্কুলছাত্রের পরিচয় পাওয়া গেছে। জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ভেলামারী গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আমান। দুরমুঠের সরুলিয়া গ্রামে মামা মো. আরিফুজ্জামানের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ১৫ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল আমান। সে তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারগঞ্জের ভেলামারিতে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তো।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের সরুলিয়া গ্রামে মামা আরিফুজ্জামানের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় স্কুলছাত্র আমান। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নিখোঁজের পাঁচ দিনপর ১৯ আগস্ট তার মা আলপনা বেগম এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। মেলান্দহ থানা পুলিশ সেই সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোঁজ আমানের অনুসন্ধান অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে এ ঘটনার সাথে সরুলিয়া গ্রামের হাশর আলীর ছেলে দাকিল হোসেনের (১৯) জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়।

৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় দাকিল হোসেনকে আটক করে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আমানের মামা আরিফুজ্জামানের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংকে আমানের মরদেহ গুম করার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে পুলিশের একটি দল সরুলিয়া গ্রামের ওই মসজিদের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংক থেকে আমানের মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান এ প্রসঙ্গে এ প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক দাকিল হোসেনের তথ্যের ভিত্তিতে ওই গ্রামের মসজিদের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাংক থেকে আমানের মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহের কঙ্কালগুলো মর্গে এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কিছু আলামত ঢাকায় পাঠানো হবে।

ওসি আরও জানান, আটক দাকিল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। নিহত আমানের বাবা-মাকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতির পাশাপাশি জড়িত সন্দেহভাজনদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

sarkar furniture Ad
Green House Ad