লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় তিনদফা বন্যায় বীজতলা সংকটে হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকরা। ফলে আমনের বীজতলা সংকটের কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৭ জুন, থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধরী, নোয়ারপাড়া, সদর, পলবান্ধা, গোয়ালেরচর, গাইবান্ধা, চর পুটিমারী ও চর গোয়ালীনি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকায় ব্যাপক বন্যা হয়।
ভয়াবহ ওই বন্যায় কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধরী, নোয়ারপাড়া, ইউনিয়নের শতভাগ, সদর ইউনিয়নের ৯৫ ভাগ, পলবান্ধা, গোয়ালেরচর, গাইবান্ধা ইউনিয়নের ৭০ ভাগ এলাকা পানিতে ডুবে যায়।
বন্যার আগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানি দীর্ঘ হওয়ায় কৃষকের আউশ ধান ডুবে নষ্ট হয়। এছাড়াও বন্যায় আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধরী, নোয়ারপাড়া, সদর, ইউনিয়নের বন্যার্ত এলাকায় আমন বীজতলা না হওয়ায় এখনো ধান চাষ শুরু করতে পারেনি কৃষক। ফলে উপজেলায় এবার আমন ধানের বীজতলা সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানান, কৃষকরা বীজতলা তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছে। অনুকূল পরিবেশ পেলে আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।