দেওয়ানগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে পোলাও মাংস বিতরণ

দেওয়ানগঞ্জ এম এম মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে আশ্রয় নেওয়া বন্যার্তদের মাঝে পোলাও বিতরণ করেন ইউএনও সুলতানা রাজিয়া ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যন দেওয়ান ইমরান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) থেকে
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যমুনার পানি বিপদ সীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত থাকায় বন্যার পরিস্থীতি আবারও অবনতি হয়েছে। তৃত্বীয় দফা বন্যার পানি কমতে না কমতেই যমুনার পানি ফেপেঁ উঠেছে।

যমুনা বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান জানান, পানি ২৪ ঘন্টায় ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে।

৪র্থ দফা বন্যা দেখা দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে বানভাসি মানুষ। দীর্ঘ দেড়মাস পানিবন্দি হয়ে থাকায় বন্যা প্লাবিত মানুষের দেখা দিয়েছে খাদ্যসহ নানা সংকট। ঈদে ছিলো না বন্যার্ত মানুষের ঈদ আনন্দ।

উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা এনামুল হাসান জানিয়েছেন, বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ ও শুকনো, রান্না খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ১ আগস্ট ঈদের দিন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও চিকাজানি, চুকাই ইউপি চেয়ারম্যানদের অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সড়ক ও সেতুর উপর আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে পোলাও ও মাংস বিরতণ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানিয়েছেন, উপজেলার কোন ইউনিয়নে একজন বন্যার্ত মানুষেরও যেনো না খেয়ে থাকতে হয় সে দিকে উপজেলা প্রশাসনের নজর রয়েছে। আমরা সঠিকভাবে সরকারের বরাদ্দ করা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ম মতই বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। এছাড়াও ঈদে বানভাসি মানুষের খাবার জন্য ১ আগস্ট রাতে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের অর্থায়নে পোলাও ও মাংস বিতরণ করা হয়েছে।