করোনায় প্রাণ গেল সরিষাবাড়ীর এক মাদরাসা শিক্ষকের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন মো. মহিউদ্দিন (৫৫) নামের একজন মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ৮ জুলাই রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি জেলার সরিষাবাড়ী পৌরসভার মাইজবাড়ী গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে।

সরিষাবাড়ী পৌরসভার কোনাবাড়ী দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি। জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন মৃত মহিউদ্দিনের মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জামালপুরের সিভিল সার্জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া ছাড়াও মো. মহিউদ্দিনের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল। ১ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। পরের দিন ২ জুলাই তাকে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছিল। ৮ জুলাই রাত পৌনে ১০টার দিকে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার দুই ছেলে কাউছার ও কাফি মিয়াও একই সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৮ জুলাই দুই ভাইকে সুস্থতার সনদ দিয়েছে আইসোলেশন সেন্টার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাবার শারীরিক অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তারা ৯ জুলাই সকালে আইসোলেশন সেন্টার ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। রাতে তাদের বাবার মৃত্যুতে দুই ভাই কান্নায় মুর্ছা যান। তারা দু’জন রাতেই তাদের বাবার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করেই বাড়িতে যান।

করোনা আইসোলেশন সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জামালপুর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান সোহান এ প্রতিবেদককে জানান, মহিউদ্দিনের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল। ৮ জুলাই রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। তার আগে ভর্তি হওয়া তার দুই ছেলে করোনামুক্ত হওয়ায় তাদেরকে সুস্থতার সনদ দেওয়া হয়েছে। রাতেই আইসোলেশন সেন্টারের অ্যাম্বুলেন্সে করে মহিউদ্দিনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সরিষাবাড়ী পৌরসভার মাইজবাড়ীতে পাঠানো হয়। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়েছে।

জামালপুরের সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস এ প্রতিবেদেককে বলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা স্থানীয় ইউএনও এবং থানার ওসির সাথে পরামর্শ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়া মহিউদ্দিনসহ এ পর্যন্ত জামালপুর জেলায় মোট ১০ জনের মৃত্যু হলো। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষায় চারজনের করোনা পজিটিভ আসে।

sarkar furniture Ad
Green House Ad