ঢাকা ০৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জার্মানি বাংলাদেশকে ১শ’ কোটি ইউরো দেবে : রিজওয়ানা গাজায় ‘দীর্ঘ যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুত হামাস শেরপুরের জেল পলাতক ৩০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ফিরোজ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মহানবী (সা.) এর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য আদর্শ : ধর্ম উপদেষ্টা জামালপুরে জেসিসিআই’র উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল জামালপুরে অতিথি লিমিটেডের ইউজার প্রেজেন্টেশন যানজট সমস্যার সমাধান খোঁজার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৮ জনের বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ ট্রাম্প হত্যা প্রচেষ্টার সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ

বকশীগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হালিমার নিরব কান্না

বকশীগঞ্জে পূর্ব কলকিহারা গ্রামে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা সবজি খেতের দিকে এভাবেই হাতশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জে পূর্ব কলকিহারা গ্রামে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা সবজি খেতের দিকে এভাবেই হাতশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় টানা ৯ দিনের বন্যায় সাড়ে ৫ বিঘা জমির সবজির খেত তলিয়ে গেছে। বারে বারে বাড়ির সামনে থেকে ফসলের খেতের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। ঋণ করে সবজি চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু আকস্মিক বন্যায় সব তলিয়ে গেছে। এখন খেতের দিকে তাকিয়ে নিরবে কান্না করেন হালিমা বেগম নামে এক নারী কৃষক। তার বাড়ি মেররুচর ইউনিয়নের পূর্ব কলকিহারা গ্রামে।

গত বছর অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন জয়িতা পুরস্কার। বরাবরের মত তিনি একজন সফল চাষী। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবারও বাড়ির পাশে সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে শসা, করলা, বেগুন, পটল ও ঢেঁরস চাষ করেছিলেন। মোটামুটি ১০ দিন পরেই সবজিগুলো বিক্রি করা যেত। তার আগেই উজান থেকে পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণের কারণে মেরুরচর ইউনিয়ন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন, বগারচর ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৩৬ হাজার মানুষ।

দ্রুত গতিতে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে রাতারাতি হালিমা বেগমের সবজি খেত পানির নিচে তলিয়ে যায়। টানা ৯ দিন ধরে তার সবজি খেত পানির নিচে রয়েছে। এ কারণে সবজির গাছগুলো পচতে শুরু করেছে। ঋণ করে সবজি চাষ করে সেই ফসল ঘরে তুলতে না পারায় হতাশায় পর্যদুস্ত হয়ে পড়েছেন নারী কৃষক হালিমা বেগম।

তিনি তার ডুবে যাওয়া ফসলের খেত বার বার দেখতে যান আর নিরবে কান্না করেন। ফসল হারিয়ে অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছেন হালিমা বেগম ও তার পরিবার।

পূর্ব কলকিহারা গ্রামের কৃষক হালিমা বেগমের সাথে কথা তিনি জানান, এবারের বন্যায় তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। সামনের দিনগুলোতে তিনি ঘুরে দাড়াতে উপজেলা কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা পেলে তিনি আবারও সবজি চাষ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জার্মানি বাংলাদেশকে ১শ’ কোটি ইউরো দেবে : রিজওয়ানা

বকশীগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হালিমার নিরব কান্না

আপডেট সময় ১০:২৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০
বকশীগঞ্জে পূর্ব কলকিহারা গ্রামে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা সবজি খেতের দিকে এভাবেই হাতশার দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় টানা ৯ দিনের বন্যায় সাড়ে ৫ বিঘা জমির সবজির খেত তলিয়ে গেছে। বারে বারে বাড়ির সামনে থেকে ফসলের খেতের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। ঋণ করে সবজি চাষ করেছিলেন তিনি। কিন্তু আকস্মিক বন্যায় সব তলিয়ে গেছে। এখন খেতের দিকে তাকিয়ে নিরবে কান্না করেন হালিমা বেগম নামে এক নারী কৃষক। তার বাড়ি মেররুচর ইউনিয়নের পূর্ব কলকিহারা গ্রামে।

গত বছর অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন জয়িতা পুরস্কার। বরাবরের মত তিনি একজন সফল চাষী। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবারও বাড়ির পাশে সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে শসা, করলা, বেগুন, পটল ও ঢেঁরস চাষ করেছিলেন। মোটামুটি ১০ দিন পরেই সবজিগুলো বিক্রি করা যেত। তার আগেই উজান থেকে পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণের কারণে মেরুরচর ইউনিয়ন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন, বগারচর ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৩৬ হাজার মানুষ।

দ্রুত গতিতে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে রাতারাতি হালিমা বেগমের সবজি খেত পানির নিচে তলিয়ে যায়। টানা ৯ দিন ধরে তার সবজি খেত পানির নিচে রয়েছে। এ কারণে সবজির গাছগুলো পচতে শুরু করেছে। ঋণ করে সবজি চাষ করে সেই ফসল ঘরে তুলতে না পারায় হতাশায় পর্যদুস্ত হয়ে পড়েছেন নারী কৃষক হালিমা বেগম।

তিনি তার ডুবে যাওয়া ফসলের খেত বার বার দেখতে যান আর নিরবে কান্না করেন। ফসল হারিয়ে অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছেন হালিমা বেগম ও তার পরিবার।

পূর্ব কলকিহারা গ্রামের কৃষক হালিমা বেগমের সাথে কথা তিনি জানান, এবারের বন্যায় তার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। সামনের দিনগুলোতে তিনি ঘুরে দাড়াতে উপজেলা কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা পেলে তিনি আবারও সবজি চাষ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।